M.SC, B.Ed করে নতুন প্রজন্মকে ব্যবসার দিকে আকর্ষিত করছে 'চা-খোর' সন্দীপ!


Sandeep is attracting new generation towards business


বিশ্বজিৎ দাসঃ 
উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি শহরে থাকেন সন্দীপ জোয়াদ্দার। তিনি ভূগোলে এমএসসি; শুধু তাই নয় বিএড- ও করেছেন। একদিকে অত্যন্ত সাধারণ এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। কী করব না করব ভেবে উঠতে উঠতে ছেলেটির মাথায় যেন হঠাৎ এক বুদ্ধি খেলে গেল।

এই বুদ্ধি নিজস্ব একটা পরিচিতি তৈরি করার। কিন্তু ফের বাধা হয়ে দাঁড়াল টাকা। তবে থেমে থাকলে কী হবে? না কোনওমতে থামা যাবে না।আমরা হয়তো এমন বহু কাহিনী শুনেছি যার সূত্রপাত ক্যাফে থেকে অথবা কোনও চায়ের ঠেক থেকে। তবে এই গল্প যেন প্রত্যেক যুবদের সাহস জোগাবে নতুন কিছু করার, নতুন কিছু চিন্তা ভাবনার।


Sandeep is attracting new generation towards business




সন্দীপ জোয়াদ্দারের বুদ্ধি এবং নিজের তৈরি করা এক নাম পৌঁছে গিয়েছে শহর পেরিয়ে কলকাতায়। সেই নাম 'চা-খোর'। নিজের জমানো টাকা এবং কিছুটা ধার নিয়েই চলতে শুরু করে সন্দীপ। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চেষ্টায় কোন খামতি রাখেননি সন্দীপ।


২০২০ সাল থেকে সন্দীপের সঙ্গ নেন তাঁর দাদা। এরপর থেকেই দিনরাত এক করে শুরু হয় চায়ের সফর। ধীরে ধীরে ভাবনাচিন্তা বাড়তে থাকে কীভাবে আনা যায় আধুনিকতার ছোঁয়া? কীভাবে শহরবাসীকে খাওয়ানো যায় নতুনত্ব চা? কীভাবে চা খোর বাঙালিকে নতুন ধরনের স্বাদ দেওয়া যায়? এই ভাবতে ভাবতে পথ চলা শুরু হয় 'চা-খোর' এর। প্রথমে জলপাইগুড়ি। এরপর কলকাতা ধীরে ধীরে নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ছড়িয়ে দিতে চলেছেন সন্দীপ।


'চা-খোর' জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা, কলকাতার কেষ্টপুরের বারোয়ারিতলা এবং উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়াতে রয়েছে । এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, মেদিনীপুর, বারাসাত, নৈহাটি, উত্তর দিনাজপুর এবং আসামে খুলতে চলেছে চা-খোর। এটি শুধুমাত্র একটি ক্যাফে বা একটি চায়ের দোকান নয়।


এটি একটি কোম্পানি যার নাম রাখা হয়েছে 'চা খোর ইন্ডিয়া ভেঞ্চারস প্রাইভেট লিমিটেড'। নতুন প্রজন্মকে এন্টারপ্রিনিউরশিপ অথবা ব্যবসার দিকে আকর্ষিত করছেন সন্দীপ।