প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে প্রেমিককে বিয়ে করলেন মেক্সিকান যুবতী
প্রেম। আধুনিক যুগে যুবক-যুবতীর জীবনসঙ্গী বাছার এক পন্থা। প্রেম যে সব কিছুকেই হার মানাতে পারে তা আগে থেকেই সবার জানা। সাত সমুদ্র দূর হোক বা ধর্ম হোক বা বয়স মনে মনে মিলন হলে প্রেম সব বাধা পেড়িয়ে মিলনের স্বপ্ন দেখে। আর সেই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশে পাড়ি যুবতীর। নিজের প্রেমিককে বিয়ে বদলে ফেললেন ধর্মনামও।
মেক্সিকোর এই অপ্সরা সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে প্রেম করতেন বাংলাদেশের জামালপুরের এক যুবককে। আর তার প্রেমের টানেই দেশান্তর হয়ে ঘর বাঁধলেন মনের মানুষের সাথে। বাংলাদেশের ২৯ বছর বয়সী যুবক রবিউল হাসান রুমন ৩২ বছর বয়সী মেক্সিকান যুবতী গ্লাডিস নাইলি টোরিবিও মরালিসকে বিয়ে করলেন।
রুমান ময়মনসিংহের রুমডো ইনস্টিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষে ফ্রিল্যান্স করছেন। বিয়ের পর নিজধর্ম খ্রিস্টান ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন নাইলি। যার নতুন নাম লায়লি আখতার। জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রাম রুমানের বাড়ি অর্থাৎ লাইলির শ্বশুরবাড়ি। বিয়ের পর সেখানেই আছেন তিনি।
রবিউল জানান, ইংরেজিতে যোগাযোগের জন্য তিনি একজন বন্ধু খুঁজছেন। "2019 সালের এক পর্যায়ে, আমি তার সাথে ফেসবুকে কথা বলি।" দুই বছরের সম্পর্কের পর রোববার সকালে ওই নারী বাংলাদেশে আসেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রবিউল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বিমান থেকে নামার পর তিনি ঢাকার জজ আদালতে গিয়ে হলফনামার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং রবিউলকে বিয়ে করেন। লাইলি জানান, তিনি মেক্সিকোতে পুয়েব্লা অটোনমাস ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক হন। “রবিউলের প্রেমে পড়ার পর, আমি বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সফরটি বিলম্বিত হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চমৎকার মানুষদের একটি খুব সুন্দর জায়গা।
কিছুদিন শ্বশুর বাড়িতে থাকার পর মেক্সিকোয় ফিরবেন লাইলি। পরে উভয় দেশের নিয়মানুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে রবিউলকে মেক্সিকোতে নিয়ে যাবেন তিনি।
পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামস উদ্দিন শামস বলেন, ‘ভালোবাসা সব কিছুর ঊর্ধ্বে। প্রেম একটি মেক্সিকান মেয়েকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তাদের সম্পর্ক সফল করেছে।
1 মন্তব্যসমূহ
ভালোবাসা সব থেকে মূল্যবান সম্পদ
উত্তরমুছুনThank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊