জেলা পার্টির কোন এক্তিয়ার নেই কাউকে বহিষ্কার করার, নুর আলমকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া
নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সিতাই বিধানসভার বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বহিষ্কার অবৈধ বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায় এটা জেলা পার্টির সিদ্ধান্ত তৃণমূলের নয়। জেলা পার্টি কাউকে বহিষ্কার করতে পারে না। প্রথমে শোকজ নোটিশ পাঠাতে হয় এরপর শোকজের জবাবে অসন্তুষ্ট হলে জেলা পার্টি বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে। জেলা পার্টি সরাসরি শোকজ করতে পারে না। রাজ্য স্তরে কথা হয়েছে বলেও জানান বিধায়ক।
অন্যদিকে, নুর আলম হোসেন জানান কোনো শোকজ নোটিশ পেলাম না। কেন বহিষ্কার জানতে পারলাম না। আমি বিধায়ক সাহেবের সাথে একমত। পাশাপাশী তিনি আরও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়ছি লড়ব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়ছি লড়ব। দেখুন ভিডিও-
পুরোনো ঘাঁটির পুনরুদ্ধারের সেই কাজে সমস্যার কথা তৃণমূল সূত্রে রাজ্য নেতৃত্ব জানতে পারে বলে খবর। এরপর রাজ্য নেতৃত্ব অঞ্চল গুলিতে অনাস্থা আনা যাবে না বলেই জানিয়ে দেয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক এবং তুফানগঞ্জ এলাকায় বেশ কিছু অনাস্থা প্রস্তাব থেকে সরে আসে তৃণমূল নেতৃত্বরা। কিন্তু সিতাই বিধানসভা এলাকায় এই সিদ্ধান্তের পরেও অনাস্থা হয় ও অনাস্থা প্রস্তাব এখনো কার্যকর রয়েছে। যার পিছোনে রয়েছে তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেন এমনটাই দলীয় তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানা যায়।
এরপরেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দল থেকে নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন এবং জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। সাংবাদিক বৈঠকে তারা দাবি করেন, দল বিরোধী কাজ নিয়ে একাধিক অঞ্চল থেকে অভিযোগ পেয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সাথে আলোচনার পর নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনের দল বিরোধী কাজ করলে কেউ রেহাই পাবে না বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊