দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে কেন পালিত হয় ভূত চতুর্দশী, জানেন কি? 

bhoot chaturdashi



দীপান্বিতা অমাবস্যার (dipanwita amabasya) আগে চতুর্দশী তিথিতে হিন্দু মতে ভূত চতুর্দশী (bhoot chaturdashi) পালন করা হয়। হিন্দু মতে বিশ্বাস করা হয় যে এদিন মৃত পূর্ব পুরুষরা মর্ত্যে নেমে আসেন৷ তাঁদের খুশি করতে ও অতৃপ্ত আত্মাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতে এদিন নানা আচার পালন করার প্রথা রয়েছে।


বলা যেতে পারে এটা হিন্দুদের "হ্যালুইন উৎসব" (Halloween festival) । বিদেশে হ্যালুইন উৎসব পালন করা হয় মিষ্টিকুমড়োর মধ্যে চোখ মুখ আঁকিয়ে তার মধ্যে মোমবাতি জালিয়ে রাখা হয়।


সেখানকার মানুষের বিশ্বাস এতে প্রেতাত্মারা খুশী হন। এছাড়া এদিন ভূতের সাজসজ্জা সেজে আনন্দ উৎসব করা হয়।


তবে হিন্দুদের উৎসব একেবারে অন্য নিয়মে। চৌদ্দ শাক খেয়ে দিনটি পবিত্র ভাবে পালন করে সন্ধ্যায় মৃত পূর্বপুরুষ দের উদ্দ্যেশে সাতটি প্রদীপ দেওয়া হয়। একে "যম প্রদীপ" বলে। বলা হয় এতে যমরাজ প্রসন্ন হয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মাকে মুক্ত করেন ।


যাই হোক ভূত চতুর্দশীর (bhoot chaturdashi) একটি অন্য রকম অর্থ দাড়ায় । ভূত চতুর্দশীর পর দিন দীপান্বিতা অমাবস্যা। মহাশক্তি মা কালীর পূজার দিন । আমাদের এই দেহ পঞ্চভূতের সমষ্টি। আকাশ, ভূমি, জল, অনল, পবন । দেহান্তে শ্মশানে দেহ দাহ হলে এই শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয় । সুতরাং এই পঞ্চভূতের শরীর কে নশ্বর জ্ঞানে এই দিনটি পবিত্র ভাবে থেকে চৌদ্দ শাক ভক্ষণ করে, সন্ধ্যায় ধর্মরাজের নামে প্রদীপ উৎসর্গ করে পর দিবস মা কালীর উপাসনায় ব্রতী হবার শিক্ষা দেয়। তাই এই দিন ভূত চতুর্দশী নামে খ্যাত ।