ছাত্রছাত্রীদের জন্য ব্রিজ কোর্স, মিড ডে মিল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘন্ট সহ একাধিক দাবী নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির

১৬ নভেম্বর খুলবে বিদ্যালয়- ছাত্রছাত্রীদের জন্য ব্রিজ কোর্স (bridge course) , মিড ডে মিল (mid day meal) , মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘন্ট (M.P. H.S. examination routine) সহ একাধিক দাবী নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির ।

বিদ্যালয়




আজ একাধিক দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মেইল করে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যার এক প্রশাসনিক বৈঠকে ঘোষণা করেন ১৫ নভেম্বর থেকেই বিদ্যালয় গুলি খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু ১৫ নভেম্বর ছুটি থাকায় ১৬ নভেম্বর থেকে আবার একবার করোনা পরিস্থিতিতেই  বিদ্যালয়ে চালু হবে পড়াশুনা (school reopen)। 

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্তই হবে ক্লাস। কিন্তু দীর্ঘদিন পঠন পাঠন একপ্রকার বন্ধই ছিলো, ফলে বিদ্যালয় গুলির সংস্কার যেমন প্রয়োজন তেমনি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রেই কিছু বিশেষ প্রয়োজনের দিকে তাকিয়ে আজ  শিক্ষক সংগঠন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (ABTA) মোট ৬ দফা দাবীতে শিক্ষামন্ত্রীকে মেইল করেন। 


তাঁদের দাবিসমূহঃ 

(১) ১৬ নভেম্বর ২০১১ থেকে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন চালু হবে। তার পুর্বে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়সমূহকে স্যানিটাইজড করতে হবে। পঠন-পাঠন চালু হওয়ার পরও নিয়মিত এবং প্রতিদিন বিদ্যালয়ে প্রবেশ মুখে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে এই বিষয়ের জন্য বিদ্যালয়ে নিয়মিত অর্থের জোগান দিতে হবে এবং প্রশাসনিক নজরদারি নিয়মিত রাখতে হবে। এই সময়কালের মধ্যে সব বিদ্যালয় কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে বিদ্যালয় মেরামতির অর্থ রাজ্যের সকল বিদ্যালয়েই প্রয়ােজন অনুযায়ী সরবরাহ করতে হবে।

(২) দীর্ঘ সময় শ্রেণিকক্ষের পঠন-পাঠনের সাথে যুক্ত না থাকার কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে। সকল শ্রেণির জন্য সেতু পাঠক্রম (bridge course) চালু করতে হবে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে উক্ত শ্রেণিগুলির পঠন-পাঠন সপ্তাহে অন্তত দুই দিন করে চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে।

(৩) ২০২২-এর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘন্ট অনতিবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। 

(৪) বিদ্যালয় খােলার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাক্টিভিটি টাস্কের মূল্যায়ন, নম্বর লিপিবদ্ধকরণ ও তা সংরক্ষণের জন্য সরকারি নির্দেশনামা জারি করতে হবে। 

(৫) বিদ্যালয় খােলার সাথে সাথেই মিড ডে মিলের পুষ্টিকর রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

(৬) উৎসশ্ৰী পাের্টালের মাধ্যমে এবং বিশেষ বদলির ব্যবস্থার ফলে অনেক বিদ্যালয়ে মূলত গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলিতে বহু শিক্ষকপদ শূন্য রয়েছে। অনতিবিলম্বে রাজ্যের সকল বিদ্যালয়ের শূন্যপদে স্বচ্ছতার সাথে এসএস সি-র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়ােগ করে ছাত্রছাত্রীদের সুষ্ঠু শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষাকর্মী নিয়ােগ করতে হবে সুষ্ঠুভাবে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য।

2 মন্তব্যসমূহ

thanks

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thanks