ময়নার চন্ডী ও কংসাবতী নদীর রুদ্র মূর্তি ধারণ,কপালে ভাঁজ ময়না বাসীর





পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক দিকে ময়না ব্লক অন্যদিকে পিংলা ব্লকের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে নানান বৈচিত্রময় চন্ডী নদী।দুই দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে সে তার রুদ্র রুপ ধারন করেছে। 24 ঘণ্টা যেতে না যেতেই সে ফুলে ফেপে বাঁধ ছুই ছুই অবস্থা। দ্রুত গতিতে জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা গত 50 বছরেও বালাই পান্ডার ব্রীজে জল উঠে নি,আজ সেই ব্রিজ জলের তলায়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।বাস লরি ছোট খাটো যানবাহন ব্রিজ দিয়ে যেতে বারণ করা হয়েছে। এদিকে কংসাবতী নদীর বাঁধের ভাঙ্গন ক্রমাগত অব্যাহত। চন্ডী ও কংসাবতী নদীর নদী বাঁধ গুলো বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে সাথে সাথে গর্ত দিয়ে জল ঢুকতেও শুরু করেছে।।এই পরিস্থিতি ময়না ও পিংলার মানুষের কপালে চিন্তা ভাঁজ। এই প্রথম এত দ্রুত বৃদ্ধি পেল এই নদীর জলস্তর।বৃষ্টি বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক জনক অবস্থায় পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।




ময়নার এগারোটি অঞ্চলের বিভিন্ন হেলথ সেন্টার,স্কুল বাড়ি, ইলেট্রিক অফিস,পানীয় জলের সাব মার্শাল সহ পুকুর ঘর বাড়ি রাস্তা ঘাট জলমগ্ন।বেশ কিছু পরিবার স্কুল বিল্ডিং এ আশ্রয় নিয়েছে।বেশ কিছু স্কুলের মিড ডে মিল স্কুল গেটের সামনে থেকে দেওয়া হয়েছে। ময়নার স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক মাইতি জানালেন ময়নার বিভিন্ন হেল্প সেন্টার গুলিতে জল চলে আসায়, জিনিসপত্রগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এইসময় আমাশয় ও পেটের গোলমাল যাতে না হয় তার জন্য ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সেভ ড্রিংকিং এর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।




বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল সকালে বলাইপণ্ডা ব্রিজ সহ চন্ডী নদী পর্যবেক্ষণ করে,বলেন ময়না বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ধান পান মাছ সহ কৃষকের বিভিন্ন শস্যের ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।




বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ময়না ও পিংলা ব্লকের প্রশাসনের তরফ থেকে নদী বাঁধ পর্যবেক্ষণ করা হয়।ময়না ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজীব সরদার, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাদক্ষ শেখ শাহাজান আলী, ময়না ব্লকের সভাপতি অভায় দাস নদী বাঁধ পর্যবেক্ষণ করেন।ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা জল মগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রত্যেকে স্বীকার করে নিয়েছেন চন্ডী নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যেকোনো মুহূর্তে নদী বাঁধ ভাঙ্গা আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রশাসন সর্বদা নজর রেখে চলেছেন।