স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর ! সিপিএমের পার্টি অফিসে যথাযোগ্য মর্যাদায় উড়লো জাতীয় পতাকা
স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর ! সিপিএমের পার্টি অফিসে যথাযোগ্য মর্যাদায় উড়লো জাতীয় পতাকা। কলকাতা থেকে কোচবিহার- আজ ভারতের স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর প্রথমবারের মতন সিপিএম পার্টি অফিসে উড়লো ভারতের জাতীয় পতকা। এই সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই স্যোসাল মিডিয়ায় বিরোধীরা ট্রোল শুরু করে ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি CPIM কে । কেউ বলেন- "কমরেড জাতীয় পতাকাভেবে জাতীয় কংগ্রেসের পতকা যেনো তুলে না ফেলেন।' কেউ আবার জাতীয় পতাকার কোন রঙ উপরে কোন রঙ নীচে থাকে সে বিষয়ে বলতে থাকেন।
অবশেষে আজ CPI (M) এর দলীয় কার্যালয় গুলিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো ভারতের স্বাধীনতা দিবস।
এতদিন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় সরকারিভাবে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতেন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা। কিন্তু তাঁদের দল ওই দিন নানা কর্মসূচি নিলেও, পার্টি অফিসে উঠত না জাতীয় পতাকা। যার ব্যতিক্রম রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে 'শূণ্য' পাওয়ার পর।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, স্বাধীনতা দিবস পালন না করায় সিপিএমকে অনেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করেন। সেই তকমা ঘোচাতেই এবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সিপিআইএম দলের কর্মী সমর্থকদের বক্তব্য- সময়ের সাথে মানুষকে সমস্ত রীতি নীতি পরিবর্তন করতে হয় । আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্যবহৃত পতাকায় (আজাদ হিন্দ) কথাটিও চরকার পরিবর্তে একটি লম্ফমান বাঘের ছবি যুক্ত করা হয়। এটি ছিল মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুভাষচন্দ্র বসুর সশস্ত্র সংগ্রামের অনাস্থার প্রতীক। মণিপুরে প্রথমবার সুভাষচন্দ্র এই পতাকাটি উত্তোলন করেন।
তাদের বক্তব্য ছিলো "ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়।"- পরে ভুল স্বীকার করে তৎকালীন অবিভক্ত সিপিআই। যদিও বাম নেতারা যুক্তি দিয়েছিলেন,'অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে কীসের আজাদি!'
কালক্রমে ভারতের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেই আস্থা রাখে বাম নেতৃত্ব। পরে ১৯৬৪ সালে বিভক্ত হয় সিপিআই। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে অংশ নিলেও এত দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়নি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে । সেই রীতিই ভাঙল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগে।
পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। এই রীতি মেনে কলকাতা থেকে কোচবিহার- সিপিএম এর প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊