CPIM -র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুশিয়ারী শ্রীলেখা ও রাহুলের
হাজার প্রতিকুলতা এড়িয়ে ৫০০ দিন সম্পূর্ন করেছে সিপিআইএমের শ্রমজীবি ক্যান্টিন। ৫০০ দিন পেরোনোর সুবাদে সোমবার যাদবপুরে এক বড়সড় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিল দল। আর এই অনুষ্ঠান ঘিরেই শুরু হয়েছে জলঘোলা। সাড়ম্বরে পালন করা সেই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে দেখা গেছে সদ্য গেরুয়া শিবির ছেড়ে আসা অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রূপা ভট্টাচার্যকে ঘিরেই এই জলঘোলার সূত্রপাত। সদ্য গেরুয়া ছাড়া নেতাকে দেখে বেজায় চটেছেন টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখা ও অভিনেতা রাহুল।
শ্রীলেখা লিখেছেন, 'নিজেরকে কমিউনিস্ট বলে উল্লেখ করার মতো সাহস আমার নেই। কিন্তু, আমি বামপন্থী। বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমায় কি প্রলোভন দেওয়া হয়নি? এমনকী অন্য দলের থেকে আমায় বিধানসভার টিকিটের প্রস্তাব পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। গ্রহণ করলে আমার জীবনটাও অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু, তা আমি করিনি। বদলে যে মতাদর্শে বিশ্বাস করি, সেখানেই অনড় থেকেছি। নিজের সাধ্যমতো পার্টির হয়ে প্রচার করেছি।' এখানেই না থেমে টলি-অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ' আমি অনেক অপমান আর কষ্টের জায়গা থেকে বলছি, আমি CPIM-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করব। এরাই আমাকে গালমন্দ করেছিল একদিন। তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করা অসম্ভব।'
রাহুল লেখেন, 'CPIM এর মঞ্চে যদি টিকিট না পাওয়া হতাশ বিজেপি জায়গা পায় তাহলে আমি আজ এই মুহূর্ত থেকে CPIM এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম|আমার বামপন্থা CPIMএর মুখাপেক্ষী নয়|যে একবারের জন্য ও সাম্প্রদায়িক দলের সাথে জড়িয়েছে,বিশেষত সে যদি সেলিব্রিটি হয়,তার সাথে কোনোদিন এক মঞ্চে আমি থাকব না| CPIM ভেবে দেখুক আমাদের প্রয়োজন,না তাদের|
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই ধরেই বিজেপি সমর্থক অভিনেতা অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী রুপা ভট্টাচার্য। ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কথা বলতে ও প্রচার সারতে দেখা যায় তাঁদের । কিছুদিন আগেই ক্ষুব্ধ হয়েই গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছেন তাঁরা। আচমকাই এবার গেরুয়া থেকে লাল শিবিরে হাজির হয়েছেন তা দেখে চমকে উঠেছেন। যদিও করোনা মোকাবিলায় রেড ভলান্টিয়ারের কাজকর্মে খুশি হয়েই হাজির ছিলেন বলে তাঁদের দাবি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊