'উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পর্যুদস্ত হবে': মুকুল রায়, পরে শুধরে নিলেন ভুল, বেফাঁস মন্তব্যে শোরগোল
ঘর বদল করেছেন মুকুল রায়। বিজেপির হয়ে বিধানসভায় জয় লাভ করেও পরে ফিরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ১১ জুন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সপুত্র তৃণমূলে যোগদান করেন মুকুল করেন। এদিকে বিজেপির হয়েই রয়েছেন বিধায়ক পদে।
শুক্রবার সকালে কৃষ্ণনগরে পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে উপনির্বাচন নিয়ে মুকুল (Mukul Roy) বলেন,'উপনির্বাচন হোক। উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বলতে পারি যে তৃণমূল কংগ্রেস পর্যুদস্ত হবে। এখানে কৃষ্ণনগরে ভারতীয় জনতা পার্টি নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা করবে।' এখানেই থামেননি মুকুল তিনি আরও বলেন, 'ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে।' আর এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিনি যে বিজেপির বিধায়ক হলেও এখন তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন।
এদিকে পাশ থেকে তাঁর ভুল শুধরে দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। গোলমাল টের পেয়েই দ্রুত শুধরে মুকুল বলেন,'তৃণমূল হেরে যাবে মানে নিজস্বগুণে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে। ত্রিপুরায় বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। ভারতীয় জনতা পার্টি হারবে।'
এদিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির কটাক্ষ, "তিনি মনের কথা বলেছেন। পরে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তৃণমূল কংগ্রেসের কথা চিন্তা করে ক্ষণিকের জন্য নিজের বয়ান বদল করেছেন, কিন্তু তিনি মন থেকে চান বাংলা ও ত্রিপুরাতে বিজেপিই জিতুক। সত্যি কথা বলার জন্য মুকুলবাবুকে অভিনন্দন জানাই।"
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জিতেছেন মুকুল। কিন্তু বাংলায় ৭৭ আসনে থেমে গেছে বিজেপি। বিপুল সিট পেয়ে তৃণমূল সরকার গঠনের পর তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়। মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেছে বিজেপির পরিষদীয় দল। এর মাঝেই বিধানসভায় পিএসি চেয়ারম্যান করা হয় মুকুলকে। বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊