জাতীয় স্তরে কিকবক্সিং প্রতিযোগিতা খেলতে যাচ্ছেন ফাস্টফুডের দোকানদার সুব্রত কীর্তনীয়া





ধূপগুড়ি,জয়ন্ত বর্মন ২২আগস্ট

এ মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে গোয়াতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় স্তরের কিকবক্সিং প্রতিযোগিতা। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিযোগিরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ৫৩ জন প্রতিযোগী গোয়ায় কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় খেলতে যাচ্ছে। এরমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২নং অঞ্চলের শালবাড়ির একমাত্র প্রতিনিধি সুব্রত কীর্তনীয়া। সুব্রতবাবু জানান, 'ওয়াকু ইন্ডিয়া কিকবক্সিং ফেডারেশন ও জলপাইগুড়ি কিকবক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গোয়ায় খেলতে যাচ্ছি।' ৫২ কেজি বিভাগে খেলবেন তিনি। এ মাসের ২৩ তারিখ রওনা দেবেন রাজ্যের প্রতিযোগীরা।



সুব্রত পেশায় ফাস্টফুডের দোকানদার। শালবাড়িতে তাঁর দোকান রয়েছে। দোকানের চেয়ে খেলাতেই তাঁর মনপ্রাণ বেশি পরিবারে রয়েছে অসুস্থ বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী। দোকানের পাশাপাশি কিকবক্সিং খেলার অনুশীলন করেন সুব্রত। তাঁর নিজস্ব ছোট্ট একটি একাডেমি রয়েছে, সেখানে জনাকয়েক কিশোর কিশোরী ও শিশুদের কিকবক্সিং করিয়ে সামান্য টাকা দিয়ে সংসার চালান । সুব্রত আরও বলেন, 'লকডাউনে পরিবারে আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে কিকবক্সিং প্রতিযোগিতা খেলতে যাচ্ছি। এই খেলার প্রতি তার স্ত্রীর সহযোগিতা, ভরসা ও অনুপ্রেরণা পাই।' নিজের খরচে ছোট্ট এই একাডেমি তিনি চালান সেখানে জনাকয়েক কিশোর কিশোরী ও শিশুদের কিকবক্সিং শেখান।



কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় খেলতে যাবার আগে সুব্রত সাংবাদিকদের বলেন, ব্যক্তিগত খরচে এবং বিভিন্ন জনের সহযোগিতায় তিনি সেই প্রতিযোগিতা খেলতে যাচ্ছেন। কোন স্পনসর কিংবা সরকারি কোন সহযোগিতা তিনি পাননি বলে জানান। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জলপাইগুড়ি জেলা কিকবক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, 'জলপাইগুড়ি থেকে একমাত্র সুব্রত কীর্তনীয়া খেলতে যাচ্ছেন। নিজের খরচেই যেতে হচ্ছে।‌ আমরা কোন রকম স্পনসর পাইনি, স্পনসর পেলে‌ খুবই ভালো‌ হয়।' সুব্রত বলেন, গোয়া সফরের জন্য ধূপগুড়ি ব্লক কিকবক্সিং অ্যাসোসিয়েশন কিছুটা আর্থিক সহযোগিতা করেছে, তবে এই খেলায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আরও সহযোগিতা দরকার।



প্রতিযোগিতায় খেলতে গেলে দিতে হবে করোনার ভ্যাকসিন। কিকবক্সিং খেলোয়ার হিসেবে করোনার দুটি ভ্যাকসিন পাননি সুব্রত। ব্যবসায়ী হিসেবে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন তিনি।