আবারও অন্ধকার দিনে ফিরে যাওয়ার আশঙ্কায় আফগান নারীরা
একে একে আফগানিস্থানে প্রাদেশিক রাজধানীগুলি দখল করছে তালিবান। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন আফগানিরা। এমন পরিস্থিতিতে সমগ্র আফগানিস্থান তালিবানদের দখলে এলে আফগানি মহিলাদের যে আবারও অন্ধকারে চলে যেতে হবে এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন জাহরা।
জাহরা বেশিরভাগ তালেবান-মুক্ত আফগানিস্তানে বেড়ে ওঠেন, যেখানে নারীরা ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখার সাহস পায় এবং মেয়েরা শিক্ষা লাভ করে। গত পাঁচ বছর ধরে, তিনি স্থানীয় অলাভজনক সংস্থার সাথে মহিলাদের জন্য সচেতনতা বাড়াতে এবং লিঙ্গ সমতার জন্য কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালেবানরা শহরে প্রবেশ করার সাথে সাথে তার স্বপ্ন এবং আশা যেনো ভেঙে পড়ে। অন্যান্য বাসিন্দাদের মতো, জহরা, তার বাবা -মা এবং পাঁচ ভাইবোন এখন ঘরের ভেতর ঘোরাঘুরি করছে, বাইরে যেতে ভয় পায় ।
কিছুদিন আগেই আঁটসাঁটো পোশাক পরবার অপরাধে এক নারীকে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে তালিবানরা। তালিবানরা আফগানিস্থানের ক্ষমতায় এলে যে আফগান নারীরা তাদের সমস্ত অধিকার, শিক্ষার অধিকার, জীবিকার অধিকার সহ সমস্ত অধিকার থেকে বিচ্যুত হবে , সে আশঙ্কায় রয়েছেন জাহরা সহ সমস্ত আফগান নারীরাই।
![]() |
Internally displaced school teacher wearing a burqa from Takhar province speaks during an interview inside her tent in a public park in Kabul, Afghanistan. (AP Photo) |
কাবুলের 26 বছর বয়সী নারী অধিকার কর্মী জরমিনা কাকর বলেন, "আমি মনে করি আমরা একটি পাখির মতো বসবাসের জন্য বাসা তৈরি করি এবং এটি নির্মাণের জন্য সব সময় ব্যয় করি, কিন্তু তারপর হঠাৎ অসহায়ভাবে অন্যরা এটি ধ্বংস করে দেয়"।
1996 সালে যখন তালিবানরা প্রথমবার কাবুলে প্রবেশ করে সেই সময় একদিন ছোট্ট জরমিনা মায়ের সাথে আইসক্রিম কিনতে বাড়ির বাইরে বের হয়েছিলো। আইসক্রিমের দোকানে মুখের উপরের কাপর সড়ানোয় এক তালেবান ছোট্ট জরমিনার মা'কে চাবুক মেরেছিলো। - সেই পুরানো স্মৃতি আবারও জেগে উঠছে জরমিনা কাকরের।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊