D.A. Case: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মামলায় আদালতের আজকের নির্দেশ
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর সময়সীমা আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছিলো স্যাট। ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে, রাজ্য সরকারকে এমন নির্দেশ দিয়েছিলো রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বা স্যাট। বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলছে রাজ্য সরকারের। গত বছরের জুলাইয়ে এক বছরের মধ্যে ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন করলে তা খারিজ হয়, বহাল থাকে ২০১৯ এর রায়ই।
কিন্তু স্যাটের নির্দেশের পরও তা কার্যকর করেনি রাজ্য- এমন অভিযোগ এনে আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের করা হয়।
গত ২৪ তারিখ ডিএ মামলাটি দুপুর ১২ টা ৩০ মিঃ কোর্টে উঠে। কনফেডারেশন অব স্টেট গভঃ এমপ্লয়িজ এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখােপধ্যায় জানান- "আজ ডিএ মামলাটি দুপুর ১২ টা ৩০ মিঃ কোর্টে উঠলে এক সরকারি আইনজীবি আদালতকে A.G ১নং ঘরে ব্যস্ত থাকার কথা শােনালে মহামান্য বিচারপতি বিরক্তির সুরে বলেন, এমনটা তাে হওয়ার কথা ছিল না। ডিএ মামলাটি অনেকদিন ধরেই পেন্ডিং আছে। আমাদের আইনজীবি পূর্বের অর্ডারের কথাও তুলে ধরেন। সেই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, আগামী মঙ্গলবার (৩১/ ০৮) A.G থাক বা না থাক, অন্য কেউ যথা ADG,GP বা Advocate on record উপস্থিত থেকে তাদের বক্তব্য শোনাবে। যদি কেউ উপস্থিত না থাকতে পারেন, সেক্ষেত্রে তাঁরা তাদের লিখিত বক্তব্য পেশ করতে পারেন। মামলালি ওই দিন দ্বিতীয়ার্ধে ১ নং ম্যাটার হিসাবে তা শােনা হবে। "
আজ পুনরায় রাজ্য পিটিশন দাখিল করেন, এই নিয়ে সপ্তমবার পিটিশন দাখিল করলো রাজ্য। ডিএ মামলায় মাননীয় আইনজীবি আমজাদ আলি জানান- রাজ্যের এজি আজ আদালতে জানান কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ডিএ দেওয়ার কোন আইন নেই। প্রসঙ্গত তিনি AICP এর উল্লেখ করেন। এজির বক্তব্য আদালত মানেনি। ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় রাজ্য যদি AICP না মানে তবে কিসের ভিত্তিতে রাজ্য ডিএ প্রদান করে। এর উত্তরে এজি জানান পরবর্তিতে তিনি জানাবেন কিসের ভিত্তিতে রাজ্য তার কর্মচারীদের ডিএ প্রদান করেন।
এদিন আমজাদ বাবু জানান- আদালত জানিয়েছে সমস্ত বকেয়া ডিএ রাজ্যকে পরিশোধ করতে হবে। আর আদালতের এই বক্তব্যে আইনজীবি আমজাদ আলিও বিশেষ ভাবে আশাবাদী। আগামী শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে ০২ রা সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায়।
গতবছর এক প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ বলেছিলেন- রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ্যভাতা কোনো দয়ার দান নয়, এটা ন্যায্য ও আইনী অধিকার। All India consumer price lndex অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার বছরে জানুয়ারি ও জুলাই মাসে মূল্য বৃদ্ধির জন্যে মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে। সেই অনুযায়ী দেশের সব রাজ্য সরকারও মহার্ঘ্যভাতা দিয়ে থাকে। সুতারাং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা বেতন কমিশন চালু হওয়ার পর ১৭ % মহার্ঘ্যভাতা পাচ্ছিল। অথচ আমাদের রাজ্যে রাজ্য সরকার মহার্ঘভাতা বিহীন বেতন কমিশন চালু করেছে যা ভূভারতে কোথাও হয় নি । রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা পাহাড় প্রমাণ আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।"
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা মমতার-উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন তদারকির দায়িত্বভার এবার চন্দ্রিমার!
তিনি আরও জানান- "বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বছরে দুটি মহার্ঘভাতা পেয়েছি, আবার কোনো বছরে তিনটি মহার্ঘভাতাও পেয়েছি। চারটি বেতন কমিশন মহার্ঘ'ভাতাও arrear সহ পেয়েছি। বর্তমান রাজ্য সরকার দারুণ ভাবে বঞ্চিত করছে। যার জন্যে কর্মচারী ও শিক্ষকেরা স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ। উপরন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ভাবে বলা হচ্ছে তাতে কর্মচারী,শিক্ষক ও তার পরিবারের প্রতি সামাজিকভাবে বঞ্চনা ও অপমান করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊