পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে দাড়ালেন সৌমিত্র খাঁ



পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে দাঁড়ালেন সৌমিত্র খাঁ। গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে যুব মোর্‌চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা দেন সৌমিত্র খাঁ। এরপরে একটি ভিডিও বার্তায় দলের বেশ কিছু নেতার প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।


এদিনের ভিডিও বার্তায় সৌমিত্র খাঁ বলেন, ব্যর্থতার দায় নিয়ে আগেই যুব মোর্চার পদ ছাড়তে চেয়েছিলাম। নরেন্দ্র মোদির প্রতি আমার আস্থা আছে, ছিল এবং যতদিন বেঁচে আছে থাকবে। একজন নেতা এসে বলছেন, তাঁর নেতৃত্বে সবকিছু হচ্ছে। আমি এলাকায় না ঢুকেই ভোটে জিতেছিলাম। বারবার দিল্লি দিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন, দেখাচ্ছেন যেন পার্টির জন্য জীবন দিয়েছেন। দলের জন্য আমাদেরও অনেক আত্মত্যাগ আছে। কেউ নিজেকে বড় বিজেপি নেতা দেখানোর চেষ্টা করছেন। বিরোধী দলনেতা নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। নতুন নেতা এসে, দিল্লির নেতাকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করছেন।


সৌমিত্র খাঁ বলেন, আমি কখনও ঘরের লোকের জন্য কিছু চাই নি। যা ভুল হবে, তা সবসময় তুলে ধরব। কখনও স্বার্থ নিয়ে তৃণমূল করিনি, বিজেপিতেও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি। আমি নিজের স্বার্থে বিজেপিতে যোগদান করিনি। বিজেপি হিসেবে জীবন দিয়ে লড়ব। নাম না করে এদিন শুভেন্দু অধিকারির উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে বলব আয়নাতে মুখ দেখতে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাবেন না। এতে আমরা সবাই মর্মাহত।“


সৌমিত্রর খাঁয়ের আরও দাবি, দল একমুখী হয়ে হয়ে উঠছে। গোটা দল যেন একটা জেলার মধ্যে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বালি চুরি বর্তমান সরকার কড়া হাতে দমন করছে, ভাল করছে। একটা জায়গায় বিজেপিতে ২জন নেতা হয়ে দল চলছে। একজন নেতা চাইলেই আমাকে বের করতে পারবে না।


জানা যাচ্ছে, এর পরেই নড়েচড়ে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিএল সন্তোষ, অমিত শাহের ফোন যায় তাঁর কাছে। আর তারপরেই সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। বিজেপি যুব মোর্‌চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা থেকে সড়ে দাড়ান সৌমিত্র খাঁ।