বিরোধী জোট হলেও অন্য ‘মুখ’-কে কি সমর্থন করবেন মমতা? কি বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
একুশের বিধানসভা মঞ্চ থেকে দিল্লি লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন। নেহাত যে সেটা বিধানসভা নির্বাচনের টোপ ছিল তা মোটেই নয় তা দিন দিন পরিষ্কার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সর্ব ভারতীয় রাজনৈতিক আঙিনায় নতুন করে পথ চলা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি সফরে গিয়ে একাধিক দলের নেতা নেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করছেন তিনি।
এর মাঝেই বিরোধী জোট হলেও ‘মুখ’ কে হবেন? তা নিয়ে রাজনৈতিক প্রশ্নের মধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে কে হবেন ‘বিরোধী জোটের’ নেতা। অন্য কোনও নেতা বিরোধী জোটের ‘মুখ’ হলেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলেও জানালেন তিনি। বুধবার দিল্লিতে সম্ভাব্য বিরোধী জোটের ‘মুখ’ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক জ্যোতিষী নই। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। অন্য কেউ নেতৃত্ব দিলেও আমার কোনও অসুবিধা নেই।
তিনি আরও বলেন, বলেন, ‘আমার সঙ্গে জগন রেড্ডির (অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী), নবীন পট্টনায়েকের (ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী) সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে। যদি কোনও রাজনৈতিক ঝড় ওঠে, কেউ থামাতে পারবেন না।’ অর্থাৎ, বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে বিজেপির প্রতি ‘নরমপন্থী’ দলকে বিরোধী জোটে সামিল করার দরজা খুলে রাখলেন।
যদিও এদিকে বাংলায় বিজেপিকে দুমড়ে মুছড়ে পরাস্ত করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন একাংশ সেই সময় দাঁড়িয়ে জোট গঠনে 'মুখ' নিয়ে মত বিরোধের আগেই উদার ভাবমূর্তি তুলে ধরলেন মমতা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মমতা আসলে বার্তা দিতে চাইলেন যে যেভাবেই হোক বিজেপিকে হটাতে চান তিনি। সেটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊