KYC-এর ফাঁদে পরে ব্যাংক থেকে খোঁয়া গেল ৭০ হাজার টাকা


cyber crime



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল: আবারও জালিয়াতিদের খপ্পরে পড়ে ব্যাঙ্ক থেকে খোয়া গেল টাকা। এমনি ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের গোপালপুর এলাকায়। 

জানা গেছে কিছুদিন পূর্বেই আসানসোলের গোপালপুরের এক যুবতীর মোবাইলে এপ্স ইনস্টলের নামে কয়েক হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা। ঠিক একই কায়দায় এবার সিম কার্ডে ,কে ওয়াই সি আপডেট করতে গিয়ে ব্যাংক থেকে গায়েব হয়ে যায় ৭০ হাজার টাকা। জানা যায় চিত্তরঞ্জনের ৩০ নম্বর রাস্তা এলাকার বাসিন্দা তথা ১৬ নম্বর শপের প্রাক্তন রেলকর্মী শ্রীকান্ত পালের মােবাইল নম্বরে গত ২৪ শে জুলাই সকাল ১১:৩০ নাগাদ ৯৩৩ ৯১২ ২৫০৭ এই নম্বর থেকে একটি মেসেজ আসে। 

আর এর পরে ফোন করে শ্রীকান্ত বাবুকে জানানো হয় যে আপনার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির সিমটিতে অবিলম্বে কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। আর কেওয়াইসি আপডেট না করলে বন্ধ হয়ে যাবে তার ওই নাম্বারটি। আর এর পরেই শ্রীকান্ত বাবুকে একটি নম্বরে যােগাযােগ করতে বলা হয়।আর এরপর শ্রীকান্ত বাবু ওই নম্বরটিতে যােগাযােগ করতে গিয়ে জানতে পারেন। যে অপরদিকে ফোন কলটি যিনি ধরেছেন তিনি নিজেকে নয়ডার বি.এস.এন.এল অফিসার বিনােদ কুমার গুপ্তা হিসেবে পরিচয় দেন। আর তারপর শ্রীকান্ত বাবুকে তিনি বলেন আপনার নম্বরটিতে কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। এরজন্য আপনাকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে টিম ভিউয়ার কুইক সাপাের্ট এবং এনি ডেস্ক রিমােট ডেস্কটপ সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। 

এদিকে শ্রীকান্ত বাবুর অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকার কারনে তিনি তার ছেলের ফোনে দুটি অ্যাপ ডাউনলােড করেন। আর এরপর কেওয়াইসি সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র তিনি জমা করার পর অপরপ্রান্ত থাকা ব্যাক্তি তার বাবাকে বলেন তার মােবাইলে মাত্র ১০ টাকা রিচার্জ করতে। আর এর পরেই শ্রীকান্ত বাবু তার এটিএম কার্ড থেকে ওই টাকা রিচার্জ করেন তিনি। আর এর পরেই তাকে বলা হয় যে তার রিচার্জটি সফল হয়নি। এরপর শ্রীকান্ত বাবুর ছেলে শাশ্বতকে ফোনে ওই ব্যক্তি বলেন তিনি যেন ১০ টাকা রিচার্জ করে দেন তার বাবার ফোনে। আর এর পরেই শাশ্বত তার ফোনে থাকা" ইউ নাে " অপ্স থেকে ১০ টাকা রিচার্জ করে। আর তারপরেই শ্রীকান্ত বাবু ও তার ছেলের মোবাইলে পরপর মেসেজ আসে যেখানে দেখা গেল শ্রীকান্ত বাবুর একাউন্ট থেকে ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা এবং তার ছেলে শাশ্বতর ব্যাংক একাউন্ট থেকে ১৯০০০ টাকা কেটে নিয়েছে।  ঘাবড়ে যান শ্রীকান্ত বাবু। আর এর পরেই নিজের একাউন্টটি বন্ধ করেন শ্রীকান্ত বাবু। 

পাশাপাশি তিনি ২৪ জুলাই শনিবার সাইবার থানায় অভিযােগ দায়ের করার পর চিত্তরঞ্জন থানাতেও জমা দেন একটি লিখিত অভিযােগ। তবে পুলিশ ও ব্যাংকের তরফে বার বার এত সচেতনতা প্রচার করলেও। বহু মানুষ এখনো প্রতারকদের শিকার হয়ে খোঁয়াছেন বহু টাকা। যদিও রবিবার এব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে প্রথম সিম কার্ড নেওয়ার সময়ই একমাত্র কেওয়াইসি জমা দেওয়ার প্রয়ােজন হয় ,তারপরে আর তা লাগে না। এ বিষয়ে শ্রীকান্তবাবু জানান বিষয়টা তাদের জানা ছিল না যখন জানতে পারলাম ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে , তবে অবসরকালীন প্রাপ্য অর্থ ওই অ্যাকাউন্টেই ছিল তার সবটা যে দুষ্কৃতিরা নিতে পারেনি এটাই এখন একমাত্র সান্ত্বনা।