মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বিমা যোজনার প্রথম কোয়ার্টারে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন ১.২ লক্ষের বেশি মানুষ

মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বিমা যোজনার প্রথম কোয়ার্টারে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন ১.২ লক্ষের বেশি মানুষ




জয়পুর: ২৬শে জুলাই ২০২১




লঞ্চ হওয়ার পর তিন মাসেরও কম সময়ে রাজস্থান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় রাজস্থানের ১.২ লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই প্রকল্প ঠিক সেইসময় চালু করা হয়েছিল যখন দেশ কোভিড অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝছিল। ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা অনেকের ক্ষেত্রেই চিকিৎসার খরচের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করেছে। মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বিমা যোজনা ইতিমধ্যেই ১.৩ কোটির বেশি পরিবারকে নথিভুক্ত করেছে, যা রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ।




অরুণা রাজোরিয়া, সিইও, স্টেট হেলথ অ্যাশিওরেন্স জয়পুর বললেন “রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলত নিরোগী রাজস্থান কল্পনা করেছেন। ফ্ল্যাগশিপ মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বিমা যোজনা সেই পথে এক মুখ্য কীর্তি। এটি নিশ্চিত করা যে রাজ্যের সমস্ত নাগরিকের বাড়ির কাছের হাসপাতালেই বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাজস্থান সরকারের অগ্রাধিকার।”




এই বিমা প্রকল্প সবচেয়ে সাশ্রয়কারী প্রকল্প হিসাবে প্রশংসিত, কারণ রাজস্থানের সমস্ত নাগরিককে পরিবার পিছু মাত্র ৮৫০ টাকা প্রিমিয়ামেও বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা কভার দেয়। আবার জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১১ সামাজিক-অর্থনৈতিক সমীক্ষা এবং কোভিড-১৯ এক্স গ্রাশিয়ার তালিকায় থাকা মানুষ আর চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক, ছোট ও প্রান্তিক চাষীদের এই প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয় বিনামূল্যে।

মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বিমা যোজনা ৪৫০-এর বেশি বেসরকারি এবং ৭৫৬টি সরকারি হাসপাতালকে তালিকাভুক্ত করেছে মানুষের উন্নতিকল্পে পরিষেবা দেওয়ার জন্য। রাজ্য সরকারও অনবরত এই প্রকল্পে কভার হবে এমন চিকিৎসা প্রণালীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যখন মিউকরমায়োসিসের (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল, তখন সেটিকে এর অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তবে এই প্রকল্প কিছু প্রাথমিক অসুবিধারও সম্মুখীন হয়েছে। বহু বেসরকারি হাসপাতালের এই প্রকল্প না মানার খবর রাজ্য সরকার পেয়েছে। প্রত্যেক অঞ্চলে নোডাল অফিসারদের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রত্যেকটি অভিযোগ মেটানো হয় এবং নথিভুক্ত মানুষ তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলো থেকে প্রাপ্য সুবিধা পান।




রাজ্য সরকার ব্যবস্থা করেছেন, যে যদি কোনো তালিকাভুক্ত হাসপাতাল এই প্রকল্পে নথিভুক্ত কারোর থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কোভিড-১৯ ও মিউকরমায়োসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের) চিকিৎসা বাবদ কোনো টাকা নিয়ে থাকে, তাহলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

Post a Comment

thanks