দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে ছাড়ব, বিধায়ক-ভাঙনের শঙ্কায় Mamata কে হুঁশিয়ারি Suvendu-র! 





সুবিধা বুঝে কিংবা যে কারনেই হোক এক দল থেকে জিতে অপর দলে যুক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেই চলছে। বর্তমান সময়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর পরে এই চিত্র যেনো ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।


বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানো অধিকাংশ নেতা-নেত্রীরাই এখন ‘বেসুরো’। সম্প্রতি মুকুল রায়ের বিজেপি থেকে তৃনমূলে যোগদান যেন দলবদলের সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে গিয়েছে।


গত শুক্রবারই সপুত্র তৃণমূলে যোগদান করেন। আর এরপরই বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কায় রাজ্য বিজেপি। এই পরিস্থিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কড়া হুঁশিয়ারি তাঁর গলায়। তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করবই। আইন মেনেই দলবদল করতে হবে।’




তৃণমূল ও মমতা অন্য দল ভাঙানোর চেষ্টা সবসময় করেন বলে অভিযোগ তাঁর। এই পদক্ষেপকে তৃণমূলের ‘রোগ’ বলেও আখ্যা দেন বিরোধী দল নেতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার গণতন্ত্র মানে না। বাংলায় বিরোধীদের অস্তিস্ত সহ্য করতে পারেন না তৃণমূল। তবে মুকুল রায়ের দল বদলে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, ‘বিজেপি ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, বিচারধারা ও আদর্শে কেন্দ্রীক দল। তাই ক্ষতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমি চিন্তিত নই। এ নিয়ে দলের তরফে দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার যা বলেছেন। সেটাই দলের সবার মত।’




এদিন কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেছেন, ‘কে যাবে না যাবে সেটা বড় কথা নয়। মাননীয়া ও তাঁর দল শুনে রাখুন স্পিকার হাতে থাকায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পদ্ধতি জানি। আমি কার্যকর করে দেখাব। ২-৩ মাস লাগতে পারে। দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে দলবদল করতে হবে।’

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।