সেচ দপ্তরের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ, তিনদিনের মধ‍্যে সব দপ্তরকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ মুখ‍্যমন্ত্রীর



ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। ভেঙেছে নদী বাঁধ। এদিন নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশপাশি গতবছর আমফানে ভেঙে পড়া গাছগুলো কোথায়? প্রশ্ন তুলে দপ্তরকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ মুখ‍্যমন্ত্রীর।



সেচ দফতরের কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায় বলেন, ‘প্রতিবছরই সেচ দফতর বাঁধ সারাচ্ছে, প্রতিবছরই ভেঙে যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে জলে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘৫ কোটি ম্যানগ্রোভ বসানো হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরে আরও ম্যানগ্রোভ লাগানো হবে।’



প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই সহায়ক বলে মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘আমফানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙেছে, সেই গাছ কোথায় গেল? সব দফতরের থেকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাই।’ দিঘা সৌন্দর্যায়েনর কাজ প্রসঙ্গে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন ‘দিঘায় সৌন্দর্যায়নের ভিত্তিটাই ভুল হয়েছে। বছরের পর বছর ব্রিজের কাজ কেন আটকে আছে? দিঘার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব নিতে হবে।’



ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির কথা বলতে গিয়ে বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট কী করেছে? ৫ কোটির ম্যানগ্রোভ পুঁতবে বলেছিল। হয়নি।



এর আগে, ইয়াস-পরবর্তী বৈঠকে সেচ ও বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমফানের সময় তো তৈরি হল। তাহলে সব কেন ভেসে গেল? মাটির বাঁধ তো ভাঙবেই। কয়েকটা সেভাবেই করা যেত। কবে থেকে ব্রিজ তৈরি করছে, শেষ আর হচ্ছে না। খালি হচ্ছে আর হবে, হচ্ছে আর হবে। এর এনকোয়ারি হবে।

প্রসঙ্গত, আমফানের সময় সেচমন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদানের আগে গতবছর নভেম্বরে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তাঁকে বনমন্ত্রী করা হয়। 

দেখুন ভিডিও-