করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন! সংক্ৰমণ থেকে কিভাবে দূরে রাখবেন আপনার সন্তানকে ?
করোনার করাল থাবায় জেরবার গোটা দেশ। প্রথম ঢেউ তার ধ্বংসলীলা দেখানোর পর নতুন উপসর্গ নিয়ে সশরীরে হাজির দ্বিতীয় ঢেউ। লাখে লাখে মানুষ হচ্ছে আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে হু হু করে। এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। সাবধান করে দিয়েছেন সাধারণ মানুষদের। তাঁদের মতে এই তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হবে শিশু-কিশোররা, যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে যথেষ্ট। এখন থেকেই সাবধান না হলে হতে হবে চরম বিপদের সম্মুখীন।
সম্প্রতি বিশাখাপত্তনম পোর্ট ট্রাস্ট গোল্ডেন জুবিলী হসপিটালের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ কমিটি করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের দূরে রাখতে কিছুউপায় বলে দিয়েছেন। দেখে নিন একনজরে:
● শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপদেশ:
১) শিশুদের পুরোপুরি ঘরে থাকতে হবে।
২) আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করা বন্ধ রাখতে হবে।
৩) সামাজিক মেলামেশা থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪) দিনে অন্ততঃ দু'বার স্নান করতে হবে।
৫) প্রতিনিয়ত হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
৬) হাত স্যানিটাইজ না করে চোখ ও নাকে যাতে হাত না দেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৭) বাড়ির বয়স্করা যাতে নিজেদের স্যানিটাইজ না করে বাচ্চাদের কাছে না যায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
৮) দিনে অন্ততঃ দু'বার করে মোবাইল ফোন, বাচ্চাদের খেলনা, কম্পিউটার, কীবোর্ড ইত্যাদি স্যানিটাইজ করবে হবে।
৯) দিনে কমপক্ষে আধাঘন্টা বাচ্চাদের কে রোদে খেলতে দিতে হবে।
১০) বাথরুম, শৌচাগারে প্রতিদিন জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর স্যানিটাইজ করতে হবে।
১১) বালিশ এবং বালিশের কভার প্রতিনিয়ত ধুয়ে দিতে হবে।
১২) শিশুদের গরম হলে গার্গল করাতে হবে।
১৩) শিশুদের জন্য আলাদা টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট দিতে হবে।
১৪) SMS মেনে চলতে হবে: Social Distance (সামাজিক দূরত্ববিধি), Mask (মাস্ক), Sanitization (স্যানিটাইজেশন)।
● কি করবেন না: যথাসম্ভব শারীরিক ছোঁয়া করমর্দন/চুম্বন অথবা অযাচিত ছোঁয়া থেকে দূরে থাকবেন।
● খাদ্যতালিকা:
১) শিশুদের প্রোটিনযুক্ত খাবার দিতে হবে। দিনে অন্ততঃ দুটি করে ডিম, সেদ্ধ বা ভেজানো ছোলা, সবুজ কলাই, রাজমা ইত্যাদি।
২) প্রতিদিন কমপক্ষে একগ্লাস (১০০ মিলি) দুধ খেতে হবে।
৩) শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এরকম ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। যেমন:- টকজাতীয় ফল, সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি, ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি।
৪) শুধুমাত্র বাড়িতে রান্না করা খাবারই খেতে হবে। বাইরের খাবার পুরোপুরি বর্জন করতে হবে।
৫) ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড সম্পূর্ণ ভাবে বর্জন করতে হবে।
● সংক্রমণ লক্ষণসমূহ এবং রোগনির্ণয়:
করোনা সম্পর্কিত সাধারণ উপসর্গ যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, দুর্বলতা, খিদে কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, চোখে ব্যথা অথবা অন্যান্য কোনো সমস্যার সম্মূখীন হলে অবশ্যই টেস্ট করিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।
● প্রতিটি বাড়িতে অবশ্যই থার্মোমিটার, পালস অক্সিমিটার এবং টিস্যু রাখতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thanks