নন্দীগ্রামে জয়ী শুভেন্দু অধিকারী, অস্বচ্ছতা, কারচুপির অভিযোগে কমিশনে তৃণমূল





হেভিওয়েট সিট নন্দীগ্রাম নিয়ে টাঙাপোড়ন। প্রথমে জানা যায় ১২০০ ভোটে জয়ী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর, বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের টুইট মমতা নয় জিতেছে শুভেন্দু, এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইট করে জানানো হয় গণনা শেষ হয়নি। এবার নিজের ফল নিজেই জানিয়ে টুইট করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৭৩৬ ভোটের জয়ের ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। পুনর্গণনার পর ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।



এদিকে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, '' বারবার ডাটা দিয়েও বদল করা হয়েছে। কিছু একটা গন্ডগোলের আভাস পাচ্ছে দল। নন্দীগ্রামে আরও একবার ভোট গণনা হোক, চাইছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন, যদিও যেখানে ২২১ টা আসন তাঁর দলের, শুধু নন্দীগ্রাম নিয়ে কিছু আসা যায় না। পরে যে কোনও আসন থেকে তিনি জিতে আসতে পারেন। '' পাশাপাশি তিনি জানান, দল নন্দীগ্রামে পুনর্বার গণনা চাইছে তাঁর দল। তিনি আরও বলেন, ' আমরা যে প্রতিশ্রুতি মানুষকে দিয়েছি, সেগুলি পালন করব । এই জয়ে মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ । বাংলা ভারতকে বাঁচিয়েছে। ভারতবর্ষে বিজেপির ধস নেমেছে বাংলায়। '


সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, 'ভালোই হয়েছে। মানুষ যা করেছে ভালোর জন্য করেছে। আমি ওদের সেলাম জানাই।' তাঁর কথায় ''ওরা কীভাবে লুঠেছে! গোটা রাজ্যের সঙ্গে একটা বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফলের ফারাক হতে পারে! এটা সম্ভব? না। ওরা সারভায়লেন্স বন্ধ করে দিয়েছিল। ওরা জয়ী ঘোষণা করার পর অন্য কথা বলছে। লুঠিং ইজ গোয়িং অন। চিটিং ইজ গোয়িং অন। উই উইল ফাইল কোর্ট কেস।"


এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার নিয়ে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তিন সদস্য। নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা হবে কিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন বলেই সূত্রের খবর।