নারদকাণ্ডে জামিন পাওয়ার পর কি প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ হাকিমের?



ফিরহাদ হাকিম - ফাইল ফটো 


আজ সকালে নারদা কাণ্ডে সিবিআই-য়ের হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। দিনভর টানাপোড়েনের পর সন্ধেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট প্রভাবশালী তত্ব সামনে রেখে সিবিআইয়ের ১৪ দিনের হেফাজতের দাবি নাকচ করে চারজনকেই জামিন দেয়। জামিন পাওয়ার পর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নিজের বক্তব্য রাখেন ফিরহাদ হাকিম। বিজেপিকে কড়া সুরে আক্রমণ শানালেন ফিরহাদ হাকিম। বাজেভাবে হেরে যাওয়ার জন্যই বিজেপি বাংলার মানুষের ওপর প্রতিহিংসা রাজনীতি করছে বলেই তোপ দাগেন তিনি।



এদিন ফেসবুকে ফিরহাদ হাকিম লেখেন, 'আজ আমাকে ও আমার সতীর্থদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হল। বিজেপির প্রতিহিংসা আসলে বাংলার মানুষের প্রতি। বাংলার মানুষ যেভাবে বিপুল ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়েছেন সেটা মেনে নিতে না পেরেই এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কোভিড সংক্রান্ত সব কাজ রুখে দিয়ে বাংলাকে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। বাংলা তথা দেশের লাখো লাখো মানুষের মৃত্যুর থেকেও তাদের কাছে ক্ষমতার লোক্ষ অনেক বেশি।'



তিনি আরও লেখেন, 'কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২০১৪ সালে একটি স্টিং অপারেশনের নাটক সাজানো হয়েছিল। যার প্রমাণ এখনও হয়নি। শুধুমাত্র ভোটের আগে আমাদের হেনস্থা করার তাগিদে বিষয়টা সামনে তুলে আনা হয়। আসলে এটা প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।'



ফিরহাদ হাকিম লেখেন, 'বাংলায় নির্বাচন জিততে কোটি কোটি টাকা ঢেলেও ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। পিএমকেয়ার্স ফান্ডের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই দেশবাশীর। নেই জানার এক্তিয়ার। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে পিএম কেয়ার্স থেকে কী খরচ করা হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না, জানার কোনও উপায় নেই। সবশেষে এটাই বলতে চাইব কোটি কোটি টাকার বিনিময়েই আমাদের কিছু প্রাক্তন সতীর্থকে করায়ত্ত্ব করেছে বিজেপি। আসলে ওদের লক্ষ্যই তো প্রতিহিংসা, অর্থের বিনিময়ে ক্ষমতা দখল। দেশের লাখো মানুষ মারা গেলেও প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য যেন।'