পোলার্ডের ধুন্ধুমার ব্যাটিং, চেন্নাইয়ের বিশাল রান তাড়া করে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স



দুই সেরার লড়াই। আইপিএলের ইতিহাসে সফলতম দুই দল চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। চলতি মরশুমে চেন্নাই দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়ে রয়েছে একনম্বর স্থানে, অপরদিকে ৩টি জয়ের সুবাদে মুম্বই আপাতত চতুর্থ স্থানে। আজ এই দুই মেগা ডুয়েলে বাজিমাত করলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পোলার্ডের বিধ্বংসী ঝড়ে চেন্নাইয়ের বিশাল স্কোর তাড়া করে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিলো রোহিত বাহিনী। ব্যর্থ হয়ে গেলো রায়াডুর দুরন্ত ইনিংস।

প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই বোলারদের ওপরে রীতিমতো তান্ডবলীলা চালিয়ে মরশুমে দ্বিতীয়বার দুশোর ওপর রান তোলে চেন্নাই। প্রথম ওভারেই ঋতুরাজ গায়কোয়ারের উইকেট হারানোর পর আর রাশ আলগা করতে দেননি ডুপ্লেসি এবং মঈন আলী। ডুপ্লেসি ৪টি ছয় ও ২টি চারের সাহায্যে ২৮ বলে ৫০ রান করেন। অপরদিকে মঈন আলী ৫টি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ৩৬ বলে ৫৮ রান করেন।

১১ ও ১২ তম ওভারে পরপর তিনটি উইকেট পড়ার পর মাঠে ঝড় তোলেন আম্বাতি রায়াডু। জাদেজাকে (২২ বলে অপরাজিত ২২) সঙ্গে নিয়ে শেষ ৮ ওভারে ১০২ রান যোগ করেন তিনি। ৭টি ছয় ও ৪টি চারের সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাই ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান তোলে। মুম্বইয়ের একমাত্র সফল বোলার কায়রন পোলার্ড (২-০-১২-২)। সবথেকে বেশি মার খেয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ (৪-০-৫৬-১)। 

বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুটাও ভালো করেছিলেন রোহিত শর্মা এবং কুইন্টন ডিকক। ক্রিজে জমে গিয়েও বড়ো রান করতে ব্যর্থ হন দুজনেই। ২৪ বলে ৩৫ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। ডিকক ২৮ বলে ৩৮ রান করেন। ব্যর্থ হন সূর্যকুমার যাদবও (৩)। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ত্রুনাল পান্ডিয়া (২৩ বলে ৩২) এবং কায়রন পোলার্ড। মূলতঃ পোলার্ডের ঝড়ে শেষ দুই ওভারে মুম্বইয়ের জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়ায় ৩১ রান।

১৯ তম ওভারে স্যাম কুরান দুটি উইকেট তুলে নিয়ে একটা ধাক্কা দেন। যদিও ম্যাচ বের করে আন্তে সমস্যা হয়নি বিগহিটার পোলার্ডের। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৬ রান তুলে দলকে জয় উপহার দেন তিনি। ৮টি বিশাল ছয় ও ৬টি চারের সাহায্যে ৩৪ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাচের সেরা পোলার্ড।