সমালোচনার মুখে অবশেষে নড়েচড়ে বসলো বিজেপি, ৫০০-র বেশি লোক নয় জনসভায় 




দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল প্রচারে রাশ টেনেছে। কিন্তু নড়েচড়ে বসেনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোটের সাথে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি মিলিয়ে ফেলা ঠিক নয় বলেই মন্তব‍্য করেন। এরপরেই শুরু হয় আরো জোর সমালোচনা। সমালোচনার মুখে এবার নড়েচড়ে বসল বিজেপি, মোদীর সভায় হাজিরা বেঁধে রাখা হল ৫০০-য়। 




করোনা পরিস্থিতিল জেরে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচার বাতিল করেছেন। বামেদের তরফে জনসভা না করে ছোটো ছোটো আকারে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছে। অন‍্যদিকে, তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে কলকাতায় কোনোরুপ জনসভা করবেন না। নির্বাচনী প্রচারের শেষদিনে সিম্বলিক মিটিং করবেন মমতা এবং অন‍্যান‍্য জনসভাগুলিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব‍্য -এ শেষ করবেন প্রচার। এবার, বিজেপির তরফে জানানো হল দলের যেকোনো সভায় ৫০০-র বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না। এমনকি নরেন্দ্র মোদীর জনসভাতেও এই একি নিয়ম বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। 




কোভিড প্রোটোকল মেনে বিজেপির নেতা-নেত্রীরা ছোটো ছোটো আকারে সভা সমাবেশ করে নির্বাচনী প্রচার চালাবে। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে 'আপনা বুথ, করোনা মুক্ত' কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। পার্টির তরফে ৬ কোটি মাস্ক ও স‍্যানিটাইজার বিলি করা হবে বলেও জানা গেছে। 




এদিকে রাজ‍্যে বাকি আর তিনদফা নির্বাচন। করোনার জের সেই তিনদফা নির্বাচন একদফায় করার বারবার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু শোনেনি কমিশন। অন‍্যদিকে, বিজেপি চাইছে, নির্ধারিত সূচি অনুসারেই হোক নির্বাচন।