অভিনব উপায়ে পাচার মাদকদ্রব্য, অভযান চালিয়ে মাদকসহ গ্রেফতার দুই
মাদকদ্রব্য সরবরাহ রুখলো বিধাননগর থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ যে মণিপুর থেকে উত্তরবঙ্গের কিছু জেলা হয়ে ছোট ছোট গাড়ির মাধ্যমে এয়ারপোর্ট এবং তার সংলগ্ন কিছু অঞ্চলে, যেমন নারায়ণপুর, বাগুইহাটি ইত্যাদি এলাকায় মাদকদ্রব্য পাচার চলছে। সেই মাদকদ্রব্যগুলির অন্যতম হল গাঁজা। এদিন বিধাননগর থানার পুলিশ ৪০ গাঁজাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত দুজন হল রঞ্জিত বিশ্বাস এবং অশোক মণ্ডল। এয়ারপোর্ট থানায় রুজু হয়েছে মামলা, দুই অভিযুক্তই রয়েছে পুলিশি হেফাজতে।
বিধাননগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিন কয়েক আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর থানার গোয়েন্দা বিভাগের এক বিশেষ দল যাত্রী সেজে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতামুখী ট্রেনে ওঠেন। এদিন, পাচারকারী বস্তাসমেত ছিল ট্রেনেই। দমদম সিঁথির মোড় পার হয়ে ট্রেন সামান্য স্লো হতেই বস্তা ফেলা শুরু করে পাচারকারীরা, এবং তাঁদের হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। দ্বিতীয় জন, অর্থাৎ রিসিভার'-ও গ্রেফতার অটো এবং কিছুটা গাঁজাসমেত।
বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা সূত্র মারফত জানতে পারেন, মাদক পাচার করার কৌশল। যা একদম অভিনব। উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রেনে করে আসছে গাঁজা। রাত যখন প্রায় ভোর হয়-হয়, এয়ারপোর্ট কিংবা দমদম সংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকছে 'রিসিভার'-রা। এবং, ট্রেন যখন একটু ঢিমেতালে, ট্রেনের শেষের দিকে একটি বিশেষ বগির দিকে টর্চের আলো ফেলছে। এটাই ইঙ্গিত। আলোর সিগন্যাল পেয়েই, ট্রেন থেকে গাঁজাভর্তি ব্যাগগুলো নিচে ফেলে দিচ্ছে পাচারকারী । রিসিভারদের হাত ঘুরে বস্তাগুলো চলে যাচ্ছে রাস্তায় অপেক্ষা করে-থাকা কিছু অটোর কাছে। যাদের কাজই হল, বস্তাগুলো নিরাপদে পূর্বনির্দিষ্ট জায়গায় ডেলিভারি দেওয়া। দৈনিক দুই হাজার টাকা তার বিনিময়ে পান তাঁরা। এই ফরমুলা ধরেই এই অভিযান চালায় পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊