উন্নয়নই উন্নয়ন, দক্ষিণবঙ্গ- উত্তরবঙ্গ যোগ করতে ৩ হজার কোটির রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে ঃ মমতা 




হুগলির গোঘাট বিধানসভার কামারপুকুরে, সিঙ্গুরের রতনপুরে ও হাওড়ার পাঁচলায় জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের জনসভায় তিনি বাম থেকে শুরু করে বিজেপি দুই দলকেই কটাক্ষ করেন। এদিন মমতা বলেন, গোঘাট থেকে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। সুড়ঙ্গ দিয়ে বডি পাচার হত। আমার কাছে এক বৃদ্ধা মা বলেছিলেন, আমায় একটা বন্দুক দিবি? আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে, তাদের মারব। অতীত ফেলে আজ উন্নয়নই উন্নয়ন।




তিনি আরও বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি করা চলবে না।মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে যাঁরা থাকবে না, তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই । তিনি বলেন, বিজেপি, সিপিএম করেনি গোঘাট পর্যন্ত রেল আমার তৈরি করা আছে বলে উদ্বোধন করছে। বন্যা প্রতিরোধে আরামবাগে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন এদিন। বাম আমলের হার্মাদরা এখন বিজেপি হয়েছে বলেও দাবি মমতার। মেচেদা দাসপুর হয়ে জয়রামবাটি-কামারপুকুর হয়ে বর্ধমান, বীরভূম হয়ে যাবে তরাই-ডুয়ার্স হয়ে শিলিগুড়ি যুক্ত করতে ৩ হজার কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ-নেপালের সঙ্গে যুক্ত হবে। অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ মমতার ভাষণে।



মমতা বলেছেন, তৃণমূল সরকারে এসে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচী নিয়েছি। ১১ একর জমি সিঙ্গুরে রেখেছি। সেখানে কৃষিভিত্তিক শিল্প হবে। অনেকের কর্মসংস্থান হবে। সিঙ্গুরে বারুইপাড়া পানীয় জল প্রকল্প তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তা তৈরি হয়েছে।মমতা বলেছেন, আগামী দিনে সিঙ্গুরে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। আগে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি। তারপর এখানে বড় শিল্প হবে।ওড়িশা থেকে প্রচুর লোককে এনে নন্দীগ্রামে গুণ্ডা ঢুকিয়েছে বিজেপি অভিযোগ মমতার। কটাক্ষ করে মমতা বলেছেন, বিজেপির কী অবস্থা। প্রার্থী পাচ্ছে না। বয়স্ক মাস্টার মশাইকে পর্যন্ত প্রার্থী করতে হয়েছে ওদের। সাংসদ থেকে বিধায়ক হওয়ার জন্য ভোটে লড়তে হচ্ছে লকেটকে।


এদিন মমতা বলেছেন, বিজেপি যা বলবে শুনতে হবে? নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন নির্বাচন কমিশন।মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসনে ভোট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন,  মমতা বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেন বিজেপির মুখপাত্র হয়ে গেছে। বহিরাগত গুণ্ডারা আসতে পারছে কীভাবে? আগে নিয়ম ছিল, বুথ এজেন্ট স্থানীয় বুথের হতে হবে। কিন্তু বিজেপি দাবি করার পর সেই নিয়ম পাল্টে দেওয়া হয়। এখন অন্য বুথের লোকও আর এক বুথে বুথ এজেন্ট হতে পারবেন। এভাবে বিজেপির কথায় কাজ করছে কমিশন’।