অ্যাপোলো হসপিটালস, ইন্ডিয়া এশিয়ায় প্রথম এক দিনে পরপর চারটে মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর করল





~ মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওরগুলো করলেন ডাঃ সাই সতীশ, সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, অ্যাপোলো হসপিটালস ~

~ ন্যূনতম হস্তক্ষেপের মাইট্রাক্লিপ থেরাপি করে ফুটো হয়ে যাওয়া মাইট্রাল ভালভ
ওপেন হার্ট সার্জারি না করেই মেরামত করা যায়। যেসব রোগীর অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি খুব বেশি, তাঁদের জন্য এই থেরাপি জীবনদায়ী ~

~ ভারতে সবচেয়ে বেশি মাইট্রাক্লিপ ইমপ্ল্যান্ট করেছে অ্যাপোলো হসপিটালস চেন্নাই ~



চেন্নাই, মার্চ ১৬, ২০২১: এশিয়ার বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত হেলথকেয়ার গ্রুপ অ্যাপোলো হসপিটালস এক দিনে পরপর চারটে মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর সফলভবে সম্পূর্ণ করে আরো একটা রেকর্ড করল। এই ইমপ্ল্যান্টগুলো গুরুতর হার্ট ফেলিওরের চারজন রোগীর শরীরে একই দিনে করা হয়েছে। জাপানে এক দিনে তিনজন রোগীর শরীরে মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর করা হয়েছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। অ্যাপোলো হসপিটালস, চেন্নাইতে পরপর এই চারটে প্রোসিডিওর করলেন সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সাই সতীশ। ন্যূনতম হস্তক্ষেপের এই পদ্ধতি ব্যবহার ফুটো হয়ে যাওয়া মাইট্রাল ভালভ ওপেন হার্ট সার্জারি না করেই মেরামত করা যায়। যেসব রোগীর অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি খুব বেশি, তাঁদের জন্য এই থেরাপি জীবনদায়ী। চারজন রোগীই ৩ দিনের মধ্যে হেঁটে বাড়ি গিয়েছেন এবং এখন ভালই আছেন। এঁদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বয়স্ক তাঁর বয়স ৮৭ বছর।



ডাঃ প্রতাপ সি রেড্ডি, চেয়ারম্যান, অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপ, বললেন “এটা সত্যিই গর্বের বিষয় যে আমাদের শল্য চিকিৎসকরা এমন সব রেকর্ড করছেন, যেগুলো এশিয়া মহাদেশে প্রথম। অ্যাপোলো হসপিটালসে আমরা সর্বদা চেষ্টা করেছি আমাদের কাছে যত রোগী আসেন সকলকেই তাঁদের শারীরিক সমস্যার সমাধান জোগাতে। মাইট্রাক্লিপের মাধ্যমে আমরা সেইসব রোগীদের চিকিৎসা করতে পারছি যাঁদের গুরুতর মাইট্রাল রিগার্জিটেশন আছে এবং যাঁদের উপর অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নেওয়া প্রায় বারণ। তাঁদের এই প্রোডিওরের মাধ্যমে দ্বিতীয় জীবন দেওয়া সম্ভব। আজ পর্যন্ত ৫০টার বেশি দেশের ১০০,০০০-এর বেশি রোগীর মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর হয়েছে। আমরা গর্বিত যে অ্যাপোলো হসপিটালস ভারতের সামান্য কিছু নির্বাচিত হাসপাতালের একটা, যেখানে হার্ট ফেলিওরের রোগীদের শরীরে মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে আমাদের চিকিৎসকরা এই সাফল্যে আত্মতুষ্ট হবেন না এবং তাঁদের হাতে আমাদের রোগীদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য যে সর্বোচ্চ মানের মেডিকাল প্রযুক্তি আছে, তা ব্যবহার করে নতুন নতুন রেকর্ড করতেই থাকবেন।”



মিস সুনীতা রেড্ডি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপ, বলেন “হার্ট ফেলিওর সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে অগ্রগণ্য। বিভিন্ন সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে ভারতে হার্ট ফেলিওরের বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে প্রায় ৪.৬ মিলিয়ন হার্ট ফেলিওরের রোগী আছেন। এই সংখ্যা বিস্ময়কর। ভারতের রোগীদের কাছে শ্রেষ্ঠ এবং সাম্প্রতিকতম মেডিকাল প্রযুক্তির লাভ পৌঁছে দেওয়ার যে উদ্যোগে এই শিল্পক্ষেত্রে আমরা সামনের সারিতে আছি, তার সাথে সঙ্গতি রেখে মাইট্রাল ভালভে ফুটো হয়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমরা মাইট্রাক্লিপ চালু করলাম। এই ধরনের রোগীদের জন্য চিকিৎসার বিকল্প খুব সীমিত, বিশেষ করে যাঁদের বয়স ৮০-র ঘরে। প্রথম যে রোগীদের মাইট্রাক্লিপ দিয়ে সফলভাবে চিকিৎসা করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮৮ বছর।”

মাইট্রাক্লিপ এক বৈপ্লবিক যন্ত্র, যা এই দেশে চালু করা হয়েছে মাত্র তিন বছর আগে। মাইট্রাল ভালভে ফুটো (মাইট্রাল রিগার্জিটেশন) কার্ডিয়াক ফেলিওরের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এইরকম রোগীদের জন্য মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর এক নন-সার্জিকাল বিকল্প। এই পদ্ধতিতে ওপেন হার্ট সার্জারি এড়িয়ে উরুর একটা শিরার মধ্যে ক্যাথিটার ঢুকিয়ে হৃদপিণ্ডে পৌঁছানো হয়। রিয়েল টাইম 3D ইকোকার্ডিওগ্রাফিক ও ফ্লুওরোস্কোপিক সাহায্য নিয়ে মাইট্রাক্লিপ হৃদপিণ্ডে স্থাপন করা হয়।



ডাঃ সাই সতীশ, সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, অ্যাপোলো হসপিটালস, বললেন “প্রায় তিন বছর হল আমরা মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর করছি। তা থেকে পাওয়া বিস্তারিত অভিজ্ঞতা আমাদের যে আত্মবিশ্বাসী জুগিয়েছে তাতে ভর দিয়েই আমরা এক দিনে খুব অসুস্থ চারজন রোগীর শরীরে পরপর মাইট্রাক্লিপ ইমপ্ল্যান্ট করতে পারলাম। সত্যি বলতে আমাদের সেদিন মাত্র ২ জনকে অপারেট করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু অন্য ২ জনের অবস্থার দ্রুত অবনতি হয় এবং তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। একটা অভিজ্ঞ দল যারা পালা করে মসৃণভাবে কাজ করে, তাদের সাহায্যে আমরা ঘড়ির কাঁটার সাথে তাল মিলিয়ে পরপর চারটে মাইট্রাক্লিপ প্রোসিডিওর সফলভাবে করতে পেরেছি। এই সাফল্য অ্যাপোলো হসপিটালসের পুরো দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।”



ডাঃ সাই সতীশ ধারাবাহিকভাবে মাইট্রাল ভালভের প্রোসিডিওরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি এ দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মাইট্রাক্লিপ ইমপ্ল্যান্ট করেছেন। ভারতে এই প্রোসিডিওর চালু হওয়ার পর থেকে মোট ইমপ্ল্যান্টের ৬০%-এর বেশি তিনিই করেছেন। তিনি আরো বলেন “বিশেষ করে দুর্বল এবং বয়স্ক রোগীদের জন্য প্রথাগত মাইট্রাল ভালভ সার্জারির পথ প্রায় বন্ধ। মাইট্রাক্লিপ হল একমাত্র পার্কুটেনাস (ত্বকের মধ্যে দিয়ে করা) প্রযুক্তি যা ফাংশনাল ও ডিজেনারেটিভ --- দুরকম মাইট্রাল রিগার্জিটেশনেই কাজ দেয়। এই প্রোসিডিওর একটা ক্যাথ ল্যাবে করা হয় এবং যন্ত্রটা প্রয়োজনে বের করে ফেলা যায় বা এর স্থান পরিবর্তন করা যায়। এই জরুরী বৈশিষ্ট্যগুলো এই প্রোসিডিওরের সুরক্ষা বৃদ্ধি করে। একজন সঠিকভাবে নির্বাচিত রোগী, যাঁর উপর অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি খুব বেশি, তাঁর জন্য মাইট্রাক্লিপ দীর্ঘ মেয়াদে বিশেষ লাভজনক কারণ এতে বারবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এড়ানো সম্ভব হয়। তবে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই প্রোসিডিওরের পর রোগী এক নতুন জীবন পান কারণ তাঁর জীবনযাত্রার গুণমান বাড়ে এবং তিনি আরো একবার সক্রিয়, সাধারণ জীবন যাপন করতে পারেন।”



অ্যাপোলো হসপিটালস ইকো কানেক্ট প্রোজেক্টও তৈরি করছে। এই প্রকল্প ফুটো হওয়া মাইট্রাল ভালভ জাতীয় স্তরে সনাক্ত করে প্রকল্পটাকে আরো বড় করার সুযোগ দেবে। ডাঃ সাই সতীশ আর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হসপিটালসের সিনিয়র কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর কে চন্দ্রশেখরন মিলে চাইছেন ইকো কানেক্ট প্রোজেক্ট এমনভাবে তৈরি করতে, যাতে চেন্নাইয়ের বিশেষজ্ঞরা সারা দেশের ইকোকার্ডিওগ্রাফিতে বিশেষজ্ঞের মতামত দিতে পারেন; ত্রুটিপূর্ণ মাইট্রাল ভালভ সনাক্ত করতে পারেন এবং সেইসব রোগীদের এই জীবনদায়ী মাইট্রোক্লিপ প্রোসিডিওরের জন্য অ্যাপোলো চেন্নাইয়ের এপেক্স সেন্টারের কাছে রেফার করতে পারেন।



অ্যাপোলো হসপিটালস মাইট্রাক্লিপের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি রোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজে সামনের সারিতে রয়েছে। যেসব রোগী মডারেট থেকে সিভিয়ার অথবা সিভিয়ার প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মাইট্রাল রিগার্জিটেশনে ভুগছেন এবং চিকিৎসায় যাঁদের উন্নতি হচ্ছে না, তাঁদের জন্য এই প্রযুক্তিই সাধারণ চিকিৎসা হয়ে উঠছে।



এক সাম্প্রতিক ল্যান্ডমার্ক ট্রায়ালে দেখা গেছে, গ্রেড ৩-৪+ মাইট্রাল রিগার্জিটেশন থাকা সিম্পটম্যাটিক হার্ট ফেলিওরের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা কমাতে শুধু গাইডলাইন মেনে চলা মেডিকাল থেরাপির (GDMT) চেয়ে মাইট্রাক্লিপ ব্যবহার করে মাইট্রাল ভালভ মেরামত করা, সঙ্গে GDMT চালানো বেশি কার্যকরী। এতে বাঁ দিকের ভেন্ট্রিকিউল (LV)-এর ডাইমেনশন এবং রোগীর লক্ষণেরও উন্নতি দেখা গেছে। জীবনযাত্রার মান (QoL)-এর পরিমাপেও ১ মাস পর থেকে উন্নতি লক্ষ করা গেছে এবং সেই উন্নতি ২৪ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে। মাইট্রাক্লিপ দারুণ সুরক্ষিত বলেও প্রমাণিত হয়েছে।



কোভিড-১৯ সারা বিশ্বে চলাফেরার ক্ষতি করেছে, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার উপর নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমন একটা সময়েও হার্টের উন্নত চিকিৎসার এপেক্স সেন্টার অ্যাপোলো হসপিটালস চেন্নাই ডাক্তারদের অসামান্য ক্ষমতার সাহায্যে হার্টের অসুখের সবচেয়ে জটিল প্রোসিডিওরগুলো চালিয়ে গেছে, যা এই গ্রুপের দর্শনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।





About Apollo Hospitals:

It was in 1983, that Dr. Prathap C Reddy made a pioneering endeavour by launching India’s first corporate hospital - Apollo Hospitals in Chennai.

Now, as Asia’s foremost trusted integrated healthcare group, its presence includes over 12,000 beds across 72 Hospitals, 3800+ Pharmacies, over 90 Primary Care clinics and 650 Diagnostic centers, 148 plus Telemedicine Centres, over 15 medical education centres and a Research Foundation with a focus on global Clinical Trials, epidemiological studies, stem cell & genetic research, Apollo Hospitals has been at the forefront of new medical advancements with the most recent investment being the commissioning of South East Asia’s very first Proton Therapy Centre in Chennai.

Every four days, the Apollo Hospitals Group touches a million lives, in its mission to bring healthcare of international standards within the reach of every individual. In a rare honour, the Government of India had issued a commemorative stamp in recognition of Apollo's contribution, the first for a healthcare organization. Apollo Hospitals Chairman, Dr. Prathap C Reddy, was conferred with the prestigious Padma Vibhushan in 2010.

For 37 years, the Apollo Hospitals Group has continuously excelled and maintained leadership in medical innovation, world-class clinical services and cutting-edge technology. Its hospitals are consistently ranked amongst the best hospitals in the country for advanced medical services.

For further details, log onto: www.apollohospitals.com

Follow us on Twitter: @HospitalsApollo