রাজ্য জুড়ে কাল  বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা, কি বললেন মৃৎশিল্পীরা?



মঙ্গলবার সমগ্র রাজ্যজুড়ে স্কুল- কলেজ ও বাঙালির ঘরে ঘরে পূজিত হবেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। আর ঠিক তার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গার কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে কোমর বেঁধে সরস্বতী প্রতিমা বানাতে ব্যস্ত, কারণ হাতে আর সময় নেই।




প্রসঙ্গত, গত বছর শুরুর দিক থেকে সমগ্র বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর কবলে পড়েছিল আমাদের দেশ ভারত বর্ষ তার জন্য ভারতবর্ষ জুড়ে টানা সাত-আট মাস লকডাউন ছিল। লকডাউনের সময় মৃৎশিল্পীদের লক্ষীর ভাঁড়ে টান পড়েছিল তেমনি জমানো টাকা থেকে সংসার চালাতে হিমশিম খান শিল্পীরা। পাশাপাশি সরকারি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্লাবের তরফ থেকে সকলকে ইতিমধ্যে চাল-ডাল বা নানান অনুদান দিয়ে সাহায্য করা হলেও প্রতিমা বিক্রি করতে পারেননি বলে এবছর দুর্গাপুজা-কালীপুজাতেও তাদের লক্ষীর ভাঁড় প্রায় শূন্য ছিল। তবে দুর্গাপুজা- কালীপুজাতে বেশ কিছু অর্ডার পেয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটে ছিল বিস্তর। 




সঙ্গে এবছরে ২০২১ সালের নতুন বছরে সরস্বতী পূজা হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মৃৎশিল্পীরা। তবে সে কথা কে দূরে সরিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে এবছর করোনাকে দূরে সরিয়ে রেখে সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি নির্দেশকে কার্যত মাথায় রেখে স্কুল-কলেজ আদালতে সরস্বতী পুজা হবে তবে তা বিধি মেনেই করা হবে বলে জানা গেছে। 




বিভিন্ন শিল্পীরা জানান,সরকারি যদি কোনো সুযোগ-সুবিধা পেতাম তাহলে খুব উপকৃত হতাম। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া এলাকায় মৃৎশিল্পী ভুবন শীল জানান, লকডাউনে মানে মানে করে কাটিয়ে দিয়েছে কিন্তু এবছর জিনিসের দাম বেড়েছে প্রচুর, কাঁচামালের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া এবার প্রথম থেকে হিমশিম খাচ্ছি আমরা জানিনা কতদিন এভাবে চলবে তবে সরকারকে আমাদের অবস্থার দিকে একটু দৃষ্টিপাত করার আর্জি ও অনুরোধ জানাচ্ছি, যদি সরকার আমাদের দিকে একটু দেখেন খুব উপকৃত হতাম, তবে খুব ভালো লাগছে যে সরস্বতী পুজা হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে। 




প্রসঙ্গত, মৃৎশিল্পীদের কুমোরটুলিতে বিভিন্ন কলেজ,আদালত ক্লাবের তরফ থেকে সরস্বতী পূজার প্রতিমা অর্ডার আসাতে মুখের হাসি ফুটেছে মৃৎশিল্পের তা বলাই বাহুল্য। আর হাতে গোনা মাত্র একদিন তারপরে রাত পেরোলেই সমগ্র বাংলা জুড়ে বাঙালির ঘরে ঘরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূজিত হবেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী।