শালিয়াড়ায় বিচিত্র সরস্বতী পুজো, দেবী ভগবতী এবং দেবী লক্ষী পূজোও হয় একই স্থানে
বাঁকুড়া,১৬ফেব্রুয়ারী :
কথিত আছে 'বাঙালীর বার মাসে তেরো পার্বণ' । আর এই তেরো পার্বণের একটি অংশ হিসেবে , আমোদবিলাসী বাঙালীদের কাছে আজ এক বিশেষ দিন অর্থাৎ সরস্বতী পুজো । যুগান্ত ধরে সঙ্গীত ও বিদ্যার দেবী রূপে সরস্বতী বা বাগদেবী পূজিত হয়ে আসছে বাংলার সংস্কৃতিতে ।
সেই মতো আজ রাজ্য -জেলা থেকে পত্যন্ত গ্রামের কোনায় কোনায় সমারোহে পালিত হল সরস্বতী পূজো।ব্যতিক্রম নয় রাঙামাটির বাঁকুড়াতেও।জেলার অন্যান্য পুজো মণ্ডপ গুলি থেকে একটু অন্যরকম গঙ্গাজলঘাঁটির শালীয়াড়া গ্রামের সরস্বতী পূজো ।এখানে দেবী সরস্বতীর পাশপাশি একই সাথে স্থান পেয়েছে দেবী ভগবতী এবং দেবী লক্ষী । যাকে কেন্দ্র করে রয়েছে এক প্রাচীন কাহিনী ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় , প্রায় শতবছরেও আগে নাকি , এই শালীয়াড়া গ্রামে পড়েছিল কলেরার প্রকোপ । প্রিয়জন হারানোর ব্যাথায় বাড়ি বাড়ি কান্নার রোল পড়েছিল । তার পর গ্রামবাসীরা স্মরণ নেয় দেবী সরস্বতীর চরণে । এর ফলে কলেরার প্রকোপ সামগ্রিক ভাবে পশমিত হয় ,এবং পর থেকেই এখানে শুরু হয় শুরু হয় সরস্বতী পূজো । পাশাপাশি একই সঙ্গে পূজিত হয় দেবীলক্ষী ও দেবীভগবতী ।
পূজোর জন্য শুরু হয় পরিবার পিছু (প্রতি লাঙল পিছু ) দেড় শলী (অর্থাৎ ত্রিশ সের) করে ধান আদায় । যা দিয়ে নির্বাহ করা হয় পূজোর ব্যয় । এভাবেই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে প্রাচীন রীতি মেনেই শালিয়াড়া গ্রামে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী সরস্বতী, লক্ষী ও দেবী ভগবতী । গ্রামের এই পূজোকে উত্সবের রূপ দিতে যোগদান করে আট থেকে আশি সকালেই ।
তবে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে এবং বিনোদনের স্বাদ গ্রহণের জন্য দুইদিন ব্যাপী রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊