'ফেরাতে হাল,ধরো লাল' শ্লোগানকে সামনে রেখে মেমারিতে বামেদের সমাবেশ
নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচীতে তাদের সমর্থকদের উপর ‘পুলিশি অত্যাচার’এর অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছিলো পূর্ব বর্ধমান জেলা বামফ্রন্ট। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি বিধানসভার মেমারি শহরে নতুন বাস স্টান্ডে মঞ্চ করে সভা করল শনিবার বাম কর্মীসমর্থকরা। নবান্ন অভিযানে বাম কর্মী সমর্থকদের ওপর পুলিশের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সভামঞ্চে উপস্থিত নেতৃত্ব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী,জেলা সম্পাদক অমল হালদার, অভিজিৎ কোঙার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের সভা থেকে রাজ্যের শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সুজন চক্রবর্তী এবং মমতা ব্যানার্জির দিকে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন এই বলে যে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের সম্পত্তি কি করে এই দশ বছরে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার কারণ প্রকাশ্যে আনার জন্য। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। মমতা ব্যানার্জি নাকি সততার প্রতীক তাই তিনি মমতা ব্যানার্জিকে সততার প্রমাণ দেয়ার কথাও বলেন।
আবার বিজেপি এবং বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও একহাত নিলেন সুজন চক্রবর্তী। এই মুহূর্তে তৃণমূলে দম বন্ধ হয়ে আসছে বলে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও তৃণমূল ত্যাগ করেছেন দীনেশ ত্রিবেদী এবং তিনি বিজিপির দিকে পা বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে ।তার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে বিজেপিতে অলরেডি লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরালি মোহন জোসির আগেই বন্ধ হয়ে গেছে তাই আপনি যে দলে পা বাড়াচ্ছেন সেই দল দম বন্ধ করে দেওয়ার দল।
পুলিশ প্রশাসনের ওপরও ক্ষোভ উগরে দেন সুজন বাবু। তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন যে পুলিশের খাকি উর্দিটা খুলে রেখে বর্তমানে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের এর মতো শাসক দলের পতাকা ধরতে। কারণ কদিন আগেই কালনার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিতিতে পুলিশের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।বহু বাম কর্মী সমর্থক এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊