চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জল্পেশের শিব চতুর্দশী ফাল্গুনী মেলা

চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জল্পেশের শিব চতুর্দশী ফাল্গুনী মেলা


মধুসূদন রায়, ময়নাগুড়িঃ 

চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জল্পেশের শিব চতুর্দশী ফাল্গুনী মেলা । লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে পড়ে চলতি বাংলা বর্ষের শ্রাবণী মেলা। ফলে দীর্ঘ সময়ের ব্যাবধানে ফের মেলা বসতে চলেছে জল্পেশে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই খুশির আবহ তৈরি হয়েছে  মেলা প্রেমী মানুষের মধ্যে। 


উল্লেখ্য উত্তরবঙ্গের সর্বাধিক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিবতীর্থক্ষেত্র জল্পেশ ধাম। উত্তরবঙ্গের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রসিদ্ধ এই মন্দিরের পরিচিতি দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে মেলা বসে জল্পেশে। তার মধ্যেই অন্যতম জল্পেশের সর্ববৃহৎ  শিব চতুর্দশী ফাল্গুনী মেলা। এক মাস ধরে চলতে থাকা এই মেলায় কাছে-দুরের প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। 



চলতি বছর আসন্ন ফাল্গুন মাসের  শিব চতুর্দশী ফাল্গুনী মেলা আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা । যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ব্লক ও জেলা প্রসাশনের তরফে । আসন্ন মেলা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের। 


তবে বিগত বছর গুলি থেকে মেলায় বেশকিছু বিধিনিষেধ রয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে জল্পেশ মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব। স্বাভাবিকভাবেই মেলা বসলেও সরকারি নির্দেশ অনুসারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেলায় কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী কার্যালয় থাকবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি। 


সাথে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা কিছুটা শিথিল হয়েছে তবুও বিধি মেনে সরকারিভাবে করোনা সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। বিশেষ করে মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এবছর মেলার দিন সংখ্যা কমিয়ে দশ দিন করা হয়েছে। থাকছেনা মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও। 


যদিও বিগত বছর গুলির মতোই নাগরদোলা,নৌকা, ব্রেকড্যান্স, প্রদর্শনী সহ বিনোদনের সবকিছুই আগের মতো থাকছে বলে জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে। 


তবে বিধি নিষেধ থাকলেও দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতি আর লকডাউনের পর জল্পেশ মেলার সরকারি ছাড়পত্র মেলায় খুশি বহু মানুষ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ