জনজোয়ারকে সাক্ষী রেখেই ভোটের লড়াইয়ের ঘোষনা মমতার





জনজোয়ারকে সাক্ষী রেখেই ভোটের লড়াইয়ের ঘোষনা মমতার 



শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। আর সেই জনসভা রীতিমতো জনজোয়ারে ভরে গেল। আর একুশের নির্বাচনের আগে বড় চমক দিয়ে শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে লড়ার ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মার টান আর তাই নিজের উত্থানস্থল থেকেই একুশের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চান তিনি বলেও জানান। 



এদিন তিনি ঘোষণা করলেন, “এবারে নন্দীগ্রামে এমন কাউকে প্রার্থী করব ভাবছি, যে আপনাদের কাছে পড়ে থেকে আপনাদের কাজ করবে। ভাল কাউকেই প্রার্থী করব। ভাবছিলাম, আমি নিজেই যদি দাঁড়ায় তাহলে কেমন হয়? একটু গ্রামের জায়গা, আমার মনের জায়গা, আমি হয়তো ভোটের আগে বেশি আসতে পারব না। আমাকে ২৯৪ আসনেই লড়তে হবে। আপনারাই সব করে দেবেন। ভোটের পরে যা করার আমি করব। নন্দীগ্রামের সঙ্গে আমার আত্মার টান। নিজের বিবেক থেকেই বলছি। নন্দীগ্রাম আমার জন্য লাকি। এখান থেকেই লড়ব, এবং সবকটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে।”



আর এরপরেই স্পষ্টভাবে তিনি জানান যে নন্দীগ্রামে তিনিই দাড়াবেন। এমনকি দলীয় সভাপতি সুব্রত বক্সীকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে যেন তাকেই রাখা হয় তা বলবেন বলেও জানান তিনি। নন্দীগ্রামের মানুষের মধ্যে থেকে নন্দীগ্রামের মানুষের জন্য কাজ করতে চান বলেও জানান। তিনি আরো বলেন, ”এমন দল কোথাও দেখেছেন? আমি ভালবাসার টানে আর নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলাম না।”



এদিকে তেখালির সভা থেকে ভবানীপুরে ভোটে দাড়াবেন বলেও ঘোষনা করেন মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। তবে মমতা বন্দোপাধ‍্যায়ের এই পদক্ষেপ অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মাস্টারস্ট্রোক হয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুকে এদিন সরাসরি চ‍্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ