আগে লাল চোর, এখন নীল চোর এবার গেরুয়া চোর:অধীর চৌধুরী
এগিয়ে আসছে বিধানসভা নির্বাচন। দিন যতই এগোচ্ছে ততই রাজনৈতিক হাওয়া তুঙ্গে। যদিও ভোট এগিয়ে আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর। ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দ্বিতীয় দফায় বঙ্গ সফরে এসে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। এদিকে রাজ্য শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোমড় বেঁধে নেমেছে বিজেপি। মিটিং মিছিলে চলছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আনাগোনা। এদিকে অসন্তোষ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। দল ভাঙনও অব্যাহত। শুভেন্দুর পর এবার অপর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো। এদিন ফেসবুক লাইভে এসেও তোপ দাগেন, ব্যক্ত করেন অসন্তোষ। এরপরেই অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া,'আগে মনে হয়নি, মানুষের কাজ করতে পারছি না। ১০ বছর পর মনে হচ্ছে কাজের পরিসর নেই। আগে লাল চোর, এখন নীল চোর এবার গেরুয়া চোর।'
অধীর চৌধুরী বলেন, 'বিজেপিতে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছেন। ১০ বছর পর মনে হচ্ছে কাজ করার পরিসর নেই। এতদিন জানত না চোরের দল! আগে ছিল লাল চোর। এখন নীল চোর এবার গেরুয়া চোর। মমতার দয়া-দাক্ষিণ্যে মানুষ হয়েছেন। বাংলার মানুষ অধৈর্য হয়ে পড়ছেন।' ভাঙরের সভায় অধীর চৌধুরী বলেন,'তৃণমূল নেতাদের বাহাদুরির পরেও আজ সভা হচ্ছে। দেশের মানুষ আজ নিরাপদ নয়। কংগ্রেস আমলে নিরাপত্তাহীনতার বোধ ছিল না। হিন্দুদের না মুসলিমদের দেশ সেই তর্ক ছিল না। কে দেশপ্রেমিক আর কে নয়, তা শেখানোর চেষ্টা চলছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে কে? একমাত্র কংগ্রেস। ভারতের ইতিহাস তাই বলছে। বাংলাতেই দেখুন, অগ্নিকন্যা মমতা তো বলেছিলেন বিজেপি অচ্ছুত নয়। তখনই আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম।'
দীর্ঘ ৩৭ বছর পর এই সভা বলে দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের। এদিকে, বাম-কংগ্রেস জোটই বিকল্প বলে দাবি অধীরের। এদিনের সভায় জোটকে সমর্থন করার ডাক দেন অধীর। পাশাপাশি, তাঁর কথায়, বিজেপির সঙ্গে মমতার লড়াই নাটুকে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আপনার নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে বিজেপির বাপও পারবে না। আমাদের জোটকে সমর্থন করুন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊