পুত্রের পিতৃত্বের অধিকার নিয়ে হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়, শুরু হয়েছে জোর চর্চা 



মৃত ব্যক্তির বীর্যের অধিকার কার? ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট, যা নিয়ে সমাজের বুকে চলছে জোর চর্চা। এদিন এক থ্যালাসেমিয়া রোগীর পিতৃত্বের অধিকার নিয়ে রায় দিতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানালো পুত্রের পিতৃত্বের অধিকারে কোনও দাবি থাকতে পারে না বাবার। যা নিয়ে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে সমাজে।


এই বিষয়ে রায়দান করতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ‘‌কোনও মৃত ব্যক্তির বীর্যের উপর সবার প্রথম অধিকার তাঁর স্ত্রীর। আর কারও নয়। কারণ সন্তান ধারণের পরবর্তী সিদ্ধান্ত তাঁর কাঁধেই বর্তায়।’‌


দীর্ঘদিন আগে থ‍্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক ব‍্যক্তি দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন বংশ বৃদ্ধিতে সায় দিয়ে বীর্য সংরক্ষনে সায় দেয়। পরে ওই ব‍্যক্তি মারা যান। মৃত ওই ব‍্যক্তির পিতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। মৃত পুত্রের সংরক্ষিত থাকা বীর্যের উপর অধিকার জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন পিতা। সেই মামলার শুনানিতেই এই রায় দেয় হাইকোর্ট।


রায় দানের ক্ষেত্রে ভারতীয় সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদের উপরেও বিশেষভাবে জোর দিতে দেখা যায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যকে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, সংরক্ষিত বীর্য গর্ভধারণের জন্য মৃতের স্ত্রী বা অন্য কাউকে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে মৃতের স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাবা–ছেলের সম্পর্কের জোরে মৃত ব্যক্তির পিতৃত্বের অধিকারে কোনও রূপ হস্তক্ষেপ করতে পারে না তাঁর পরিবার।