উত্তাল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি তৃণমূলের



উত্তাল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি তৃণমূলের



পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস দল বুধবার রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে একটি চিঠি দিয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধানখরকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল তৃণমূলের দাবি, সাংবিধানিক সীমারেখা লাগাতার লঙ্ঘন করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। 


স্মারক লিপিতে উল্লেখ কড়া হয়েছে, আমরা জমা দিচ্ছি যে গভর্নর সংবিধান সংরক্ষণ, সুরক্ষা এবং রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন এবং এসসি কর্তৃক ঘোষিত আইন বারবার ভঙ্গ করেছে। টিএমসির সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং সংসদ সদস্য কাকলি ঘোষ দস্তিদারও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপালকে অপসারণের দাবিতে এই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন।


বুধবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বে আসার পর থেকে লাগাতার রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন জগদীপ ধনখড়। সাংবিধানিক রীতিনীতি মানছেন না বলেও দাবি করেন। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানারও অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় টুইটে মন্ত্রিসভার সমালোচনা করেছেন। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিধানসভার স্পিকারেরও সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি। যা সংবিধানবিরোধী। 


এই মাসের শুরুতে, তৃণমূলের সিনিয়র নেতা কাকোলি ঘোষ দস্তিদার জগদীপ ধানখরকে তত্ক্ষণাত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন, তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন। লাগাতার সাংবিধানিক নির্দেশিকা অমান্য করায় সংবিধানের ১৫৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সম্মতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুখেন্দুশেখর। 


তবে এনিয়ে রাজ্যপালের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। 

Post a Comment

thanks