এক দশকে ১১টি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাইলস্টোন রাজ্য সরকারের! উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করল তৃণমূল
ভোটের মুখে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে, ভিড় জমছে প্রত্যেক এলাকায় এলাকায়। এর আওতায় রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য ক্যাম্প করা হচ্ছে প্রতিটি পঞ্চায়েতে। এদিকে সরকারের ১০ বছর কাজের খতিয়ান বা রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিটি জেলায় আলাদা আলাদাভাবে সেই জেলার কাজের খতিয়ান প্রকাশিত হয়।
বিরোধীদের জবাব দিতে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে শুধু সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই নয়, সরকারের দশ বছরের কাজের খতিয়ান বা রিপোর্ট কার্ডও প্রকাশ করা হল। দলের সদর দফতরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্য়ের একাধিক দফতরের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে 'বঙ্গধ্বনি যাত্রা' কর্মসূচির সূচনা করল তৃণমূল। আগামীকাল থেকে এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাবেন তৃণমূলকর্মীরা।
রাজ্যের ১০টি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা ওই রিপোর্ট কার্ডে তুলে ধরা হয়েছে। রাজ্যবাসীর গড় আয়, শিক্ষা, ক্রীড়া, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাজেট, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, মিড-ডে মিল, পোশাক বিলির উদ্যোগে সহ একাধিক বিষয়ের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে।
গত এক দশকে বাংলার মানুষের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে, বেড়েছে জিডিপি। শিল্প ও অনুসারি শিল্পক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১০ বছরে রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫০টি কলেজ-সহ একাধিক নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আমজনতার চিকিৎসায় উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে হাসপাতাল, বেড়েছে বেড সংখ্যা। ফলে স্বাস্থ্যখাতে বাজেটেও বেড়েছে ৩ গুন। মমতা সরকারের খাদ্যসাথী প্রকল্পে উপকৃত হয়েছে রাজ্যের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ। বাংলা আবাস যোজনায় নিজের ঘর পেয়েছেন প্রায় ৩৪ লক্ষ মানুষ। নির্মল বাংলা প্রকল্পে তৈরি হয়েছে শৌচাগার।
রিপোর্ট কার্ড অনুসারে, বাংলার রাস্তাঘাটের অভূতপূর্ব উন্নতি রয়েছে। বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার কৃষিজীবীরা আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। রূপশ্রী প্রকল্পে মহিলাদের উপকারের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। তপশিলি জাতি ও উপজাতির উন্নয়নে একাধিক নতুন প্রকল্প আনা হয়েছে। প্রবীণদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কর্মসংস্থানের কথাও উল্লেখ রয়েছে। বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলা। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন ১ কোটি ৬৩ লক্ষ মানুষ। ২০১০ সালের তুলনায় কারখানা বেড়েছে ১৫ শতাংশ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে কাজ পেয়েছে প্রায় দেড় কোটি মানুষ। রিপোর্ট কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কথাও।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊