সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ‍্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গল উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা




সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ‍্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গল উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা 



উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ ফের আটকে গেল? এবার উচ্চ প্রাথমিক মামলা পৌঁছে গেল ডিভিশন বেঞ্চে। ১১ই ডিসেম্বর সিঙ্গেল বেঞ্চ উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া, মেধা তালিকা সব বাতিল করে নতুন করে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করার রায় দেয়। এরপর এবার, সেই রায়কে চ‍্যালেঞ্জ করে ১২০জন প্রার্থী মামলা করল ডিভিশন বেঞ্চে। 


মামলাকারী প্রার্থীদের বক্তব্য, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে তাঁদের সবার নিয়োগ প্রাপ্তির অধিকার খর্ব হয়েছে। এই অভিযোগেই ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছেন তাঁরা। 


উল্লেখ‍্য, ২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়নি। ২০১৫ সালে পরীক্ষা হয় এরপর পরের বছর ফল প্রকাশ হয়। অনেক বিতর্কের পরে ২০১৯-এর পুজোর আগে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শেষ হয়। 


মেধাতালিকা প্রকাশের পর দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অস্বচ্ছতা ও গড়মিলের অভিযোগ তুলে দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের। প্রায় দুই হাজার মামলা দায়ের হয়। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর দীর্ঘ শুনানি চলতে থাকে হাইকোর্টে। অবশেষে ১১ই ডিসেম্বর হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচর্য রায় শোনান। রায়ে প্যানেল থেকে মেধাতালিকা পুরোটাই বাতিল করে দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। পাশাপাশি নির্দেশ দেন, আগামী বছর ৪ জানুয়ারি থেকে নতুন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে ডকুমেনটেশন ও কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে ১০ মে-র মধ্যে । তারপর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। 


সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ‍্যালেঞ্জ করে নিয়োগ প্রাপ্তির অধিকার খর্ব হয়েছে দাবি করেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল ১২০ জন প্রার্থী। 

Post a Comment

thanks