রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে হয়রানির শিকার উপভোক্তা




রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করে হয়রানির সকার সদ্য বিবাহিত তরুণীর। আট-নয় মাস গড়িয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পায় নি পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের সানজিদা ইয়াসমিন। তিনি ওই ব্লকের উচ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা শেখ মেহেবুব রহমান একজন প্রতিবন্ধী। চাষ বাস করে কোনক্রমে টেনেটুনে তাদের সংসার চলে। ১০ মার্চ পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা গ্রামে বিয়ে ঠিক হয় সানজিদার। তাই তিনি বিয়ের আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারী রূপশ্রীর জন্য গলসি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে আবেদন করেছিলেন। তারপরে ২৩ এপ্রিল তার বাবার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। যেখানে জানানো হয় Application for SANJIDA YASMIN for 2019 has been uploaded. Your Rupashree ID is 190909190000357. 


পরে ২৩ মে তারিখে তার কন্যাশ্রী আইডি দিয়ে পুনরায় ম্যাসেজে জানানো হয় Application of SANJIDA YASMIN for 2019 with Rupashree Id 190909190000357 hasbeen Passed for payment, 


তারপর থেকে আট-নয় মাস কেটে গেলেও তার ব্যাংক একাউন্টে এখনও টাকা ঢোকে নি বলে অভিযোগ করেন সানজিদা ও তার বাবা মা। তাদের দাবী বারবার বিডিও অফিসের দরবার করেও সমস্যার সমাধান হয় নি।এগিয়ে আসে নি দপ্তরের আধিকারিক বা কর্মীরা। 


তাই বিয়ের নয় মাস পরেও রুপশ্রীর টাকা না ঢোকায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সানজিদার বাবা ও মায়ের। সেখ মেহবুব রহমান বলেন করোনা আবহে সকলের মত তাদের পরিস্থিতিও খুব খারাপ। ধার দেনা করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। মেয়ের রূপশ্রী প্রকল্প প্রাপ্ত অর্থ তাড়াতাড়ি প্রদান করুক বিডিও অফিস। যাতে মেয়ের বিয়ের খরচের ধার দেনা মেটাতে সক্ষম হন তিনি। 


মা নাজিয়ারা সেখ বলেন অভাবের সংসার।তাই মেয়ের বিয়েতে খরচ করা টাকা ধানদেনা করে জোগাড় করতে হয়েছে। এখন রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাটা পেলে সুবিধা হয়।লোকের ধান শোধ করতে পারি।


এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন কেন টাকা পেতে দেরী হচ্ছে।