কোভিড-১৯এর টিকাকরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্র -কীভাবে দেওয়া হবে কোভিড-১৯ এর টিকা জেনে নিন


কেন্দ্র কোভিড-১৯এর টিকাকরণের প্রস্তুতি দেশজুড়ে শুরু করেছে। যাঁরা টিকা দেবেন, এই প্রক্রিয়ায় তাঁদের ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই প্রশিক্ষকদের এবং যাঁরা টিকা দেবেন তাদের সকলের বিভিন্ন রাজ্যে প্রশিক্ষণের কাজ চলছে।

এঁদের মধ্যে রয়েছেন মেডিক্যাল অফিসার, কোল্ড চেন হ্যান্ডেলার, সুপারভাইজার, তথ্য ব্যবস্থাপক ও আশাকর্মীদের সমন্বায়করা। 


জানা গিয়েছে- কো-উইন তথ্যপ্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পুরো টিকাকরণের প্রক্রিয়াটি চলবে আর এই কারণে এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার সংশ্লিষ্ট সকলকে শেখানো হচ্ছে।


সব রাজ্যের যেসব প্রশিক্ষকরা টিকা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেবেন এরকম ২৩৬০ জনকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের ৭ হাজারের বেশি জেলায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রশিক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে। 

তবে লাক্ষ্মাদ্বীপে ২৯শে ডিসেম্বর এই প্রশিক্ষণের কাজ শেষ হবে। মেডিক্যাল অফিসারদের মধ্যে ৪৯,৬০৪ জনকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়াও টিকাকরণের কাজে যুক্তদের প্রশিক্ষণের জন্য ১৭,৮৩১টি ব্লকের মধ্যে ১৩৯৯টি ব্লকে কাজ শেষ হয়েছে।

  • কোভিড-১৯এর টিকাকরণের সময় কোনও অভিযোগ থাকলে তার নিষ্পত্তি করতে এবং কো-উইন পোর্টাল সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার জন্য জাতীয় স্তরে হেল্পলাইন ১০৭৫ এবং রাজ্য স্তরের হেল্পলাইন ১০৪কে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
  • কোভিড-১৯এর টিকাকরণের জন্য প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনা করে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, গুজরাট এবং পাঞ্জাবে এই প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি হাতে-কলমে যাচাই করা হবে। 
  • প্রতিটি রাজ্যের ২টি জেলায় জেলা হাসপাতাল, সিএইচসি/পিএইচসি, শহরাঞ্চল, বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীণ এলাকার জন্য আলাদা আলাদা জায়গা বাছাই করা হবে। 
  • কো-উইন-এর ব্যবহার ঠিকঠাক করা, পরিকল্পনা অনুসারে যথাযথ বাস্তবায়ন সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। 
  • পুরো প্রক্রিয়াটি ২৮ ও ২৯শে ডিসেম্বর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কাজে হিমঘর ও কোভিড টিকার পরিবহণের ব্যবস্থাপনাও খতিয়ে দেখা হবে।
  • টিকাকরণের সময় কোনও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলা করার প্রস্তুতিও যাচাই করা হবে। এছাড়াও সংক্রমণ প্রতিরোধে অন্যান্য ব্যবস্থাগুলি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। 
  • ব্লক ও জেলাস্তরে এই পর্যালোচনার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে সব তথ্য জানানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ৪টি রাজ্যের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
  • ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিসট্রেশন অফ কোভিড-১৯ (এনইজিভিএসি) প্রথমে তিন ধরণের জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য টিকাকরণের পরামর্শ দিয়েছে। 
  • ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ কোটি সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের পাশাপাশি ২৭ কোটি প্রবীণ নাগরিককে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
  • টিকার ওষুধ যেহেতু তাপমাত্রা সংবেদী তাই ৮৫ হাজার ৬৩৪টি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে দেশজুড়ে ২৮ হাজার ৯৪৭টি কোল্ড চেন পয়েন্টে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 
  • বর্তমানে এখানে স্বাস্থ্যকর্মী ও সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের জন্য টিকার ওষুধ সঞ্চিত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Credit:PIB