করোনা মহামারীকালে  ১৪ জন ভাইবোন মিলে ব্যবস্থা করলো আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক ভাইফোঁটার 




করোনা মহামারী শুধু আমাদের জীবন কেড়ে নেয়নি, সাথে ধরাবাঁধা জীবন যাত্রাকেও অনেক পাল্টে দিয়েছে। মহামারীর কারনে লকডাউন শুরু হয়। তারপর  বাইরের কাজ বাড়িতে বসে করবার ব্যবস্থা চালু হয় জোর কদমে। মানুষ আশ্রয় নেয় ভার্চুয়াল জগতে। জীবনের স্বাভাবিক ছন্দটিকে সচল রাখবার প্রয়াস শুরু হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। আজ ভাইফোটা, করোনা মহামারীর কারনে আন্তর্জাতিক আন্তর্জালিক ভাইফোঁটা-আমাদের ভার্চুয়াল জগতের প্রভাবকেই স্মরণ করায়। 

আন্তর্জালিক আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রের কথা করোনা মহামারীকালে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ হলেও আন্তর্জালিক আন্তর্জাতিক ভাইফোঁটা শুনেই প্রশ্ন জাগে এটাও সম্ভব! হ্যা এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুললো ১৪ জন ভাইবোন মিলে। 

 লন্ডন, দিল্লি, বরোদা, বিলাসপুর, ব্যাঙ্গালোর, গাদিয়াড়া, কলকাতা, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, তুফানগঞ্জ এবং  দিনহাটা থেকে মোট ১৪ জন ভাইবোন মিলে এই ভাইফোঁটার আয়োজন করে। এমনকি তাদের পরবর্তী প্রজন্মেরও ভাইফোঁটা  হল। 



পরিবারের তিন প্রজন্মের দেখা হল গল্প হল। বোনেরা শাঁখ বাজিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে ভাইদের ফোঁটা দিল। প্রদীপ জ্বালিয়ে চন্দন দিয়ে ফোটা দেওয়া হল ভাইদের। আর সমস্তটাই সম্ভব হয়েছে আন্তর্জালিক ব্যবস্থায়।

কৃষ্ণনগর থেকে বোনেদের তরফে রনিতা ভট্টাচার্য বলেন   "আমরা ভাইয়েরা বোনেরা অনেক দূরে দূরে থাকি তাই ভার্চুয়ালি এই ব্যবস্থাটা ভাই ফোটাতে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে দিল।"