২১ এর নির্বাচনের আগে শেষ ধাক্কা? বিকাশ ভবন অভিযানে রাজ্যের আপার প্রাইমারী চাকুরীপ্রার্থীরা 




গত ১১ নভেম্বর খুব শীঘ্রই রাজ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই ২৩ নভেম্বর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। ফলে রাজ্যে বঞ্চিত থাকছে আপার প্রাইমারীর চাকরী প্রার্থীরা। 

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফর্ম পূরণ শুরু করে দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রম হলেও সম্পন্ন হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর মাঝেই বহু পরীক্ষার্থী হতাশায় অন্যপথ বেছে নিয়েছে আবার বহু পরীক্ষার্থী এই আশায় বসে রয়েছে।

২০১৪ - বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন জমাকরন 
২০১৫- পরীক্ষা গ্রহন 
২০১৬- লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ 
২০১৮ - ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন 
২০১৯- ইন্টারভিউ গ্রহণ ও মেরিটলিস্ট প্রকাশ পর্যন্ত নিয়োগ অসম্পূর্ণ 
২০২০ তে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন দিনের পর দিন জোরদার হচ্ছে। একের পর এক রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিধায়ক, সাংসদ, মহকুমা শাসক, জেলা শাসককের নিকট ডেপুটেশন দিয়ে তাঁদের সাত বছরের বঞ্চনার ব্যাথা সরকারের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্রতী হয়েছে।


সামনে নির্বাচন, এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার চাইছে যাতে দ্রুত নিয়োগ করা যায়-এমনটাই সূত্রের দাবী। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের উপর কোর্টের স্টে অর্ডার রয়েছে। যদিও এই কেসের সমস্ত শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে কোলকাতা হাইকোর্টে। এখন ফাইনাল জাজমেন্ট এর অপেক্ষা।


তবে শেষ ধাক্কা দিতে এবার আপার প্রাইমারী চাকরী প্রার্থীরা বিকাশ ভবন অভিযানে যাত্রা করলো আজ। রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে ইতিমধ্যে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে আপার প্রাইমারী চাকরী প্রার্থীরা। বিকাশ ভবনের সামনে অভিযানে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গেজেট বিধি মেনে যোগ্য প্রার্থীদের আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।


এখন দেখার বিকাশভবন অভিযান কতটা ফলপ্রসু হয়- কি ভূমিকায় বা গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। আগামীকালকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের হাজার হাজার আপার প্রাইমারী চাকরীপ্রার্থীরা।