‘ভারতে মা দুর্গার বৃহত্তম ডিজিটাল মোজাইক’ তৈরিতে নতুন রেকর্ড
এই মেগা ক্যাম্পেনে ১৬৭৫০+ ছবি জমা পড়েছিল। এগুলিকে জুড়ে রিয়েল টাইমে ৫ দিনের ভিতর মা দুর্গার একটি ৮ফুট x ১২ ফুটের ডিজিটাল মোজাইক তৈরি করা হয়
কলকাতা, 09 নভেম্বর ২০২০: এ বছর আইটিসি লিমিটেডের আশীর্বাদ আটা দুর্গাপুজোর চিরাচরিত উদ্দীপনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। আলাদা মাত্রা যোগ হয়েছিল উৎসবের উদ্যাপনে। লক্ষ লক্ষ ঘরে আশীর্বাদ আটা এক বিশ্বস্ত নাম। এ বছর তারা ‘ভারতে মা দুর্গার বৃহত্তম ডিজিটাল ছবির মোজাইক’ তৈরি করে ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলেছে। এই কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৬৭৭২ জন। মহিলাদের বহুমুখী প্রতিভা ও তাদের জীবনীশক্তির উদ্যাপনে আশীর্বাদ সদা সচেষ্ট। তাই তারা ‘এটা আমারা মা’ ক্যাম্পেনটিকে আরও বড় আকারে এ বছরের দুর্গাপুজোয় ‘আমার মা, আমার দুর্গা’ লঞ্চ করে।
‘আমার মা, আমার দুর্গা’ ক্যাম্পেনের লক্ষ্য মহিলা অফুরান প্রাণশক্তি এবং দৈনন্দিন জীবনে তাদের বিভিন্ন ভূমিকার উদ্যাপন। দুর্গাপুজোয় নানান অ্যাক্টিভিটির মধ্যে দিয়ে নারীশক্তির এই বিভিন্ন অবতারে যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। নানা ধরনের অ্যাক্টিভিটির মধ্যে অন্যতম ছিল একটি ইনস্টলেশন যেটি আধুনিক নারীর মাল্টিটাস্ক করার ক্ষমতা ও তার জীবনীশক্তির প্রতিরূপ। বাগবাজার, সিংহী পার্ক, দমদম পার্ক এবং বড়িশা ক্লাবের মতো জনপ্রিয় পুজোর প্রাঙ্গণে বসানো ফটো বুথে এই ইনস্টলেশনগুলি রাখা হয়েছিল। মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে এটি দারুণ সাড়া ফেলেছিল এবং অনেকে এতে অংশগ্রহণ করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। ২০০০-এর উপর অংশগ্রহণকারী বাড়ি থেকে তাদের ছবি পাঠিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস অতিমারির সুরক্ষা বিধির কথা মাথায় রেখে কী ভাবে অংশগ্রহণ বাড়ানো যায় সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছিল। তাই আশীর্বাদ কলকাতার বিভিন্ন রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে ফটো-অপরচুনিটি জোন বসিয়েছিল, যাতে উৎসবের উদ্যাপন পৌঁছে যায় বাড়ির দোরগোড়ায়।
মায়েরাই হলেন মা দুর্গার সেই অবতার যাকে আমরা একবারে কাছ থেকে দেখতে পাই। তাই এই দুর্গাপুজো যেন মাতৃত্বেরও উদ্যাপন। ‘আমার মা, আমার দুর্গা’ ক্যাম্পেনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই ভাবনাকে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তা এবং প্রথম সারির রেডিও চ্যানেলগুলি আশীর্বাদ আটার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
ঐতিহ্যের সঙ্গে মানুষের অংশগ্রহণ, তবেই না জমে ওঠে যে কোনও উৎসব। তাই আশীর্বাদ উৎসবের আনন্দকে ভাগ করে নিতে চেয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে। তারা পৌঁছে গিয়েছিল দু’টি বৃদ্ধাশ্রমে – বিধান আনন্দ আশ্রম এবং শান্তি নিলয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের বাইরে বেরনোটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাদের পক্ষে এ বারের উৎসবে বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের সঙ্গে দেখা করাটা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। আশীর্বাদ দুর্গোৎসবের আমেজটাকেই নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল এই দুই আশ্রমের দরজায়। বাগবাজার সর্বজনীনে অষ্টমীর অঞ্জলির লাইভস্ট্রিমিং থেকে ধুনুচি নাচের অনুষ্ঠান, বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জন্য এই সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল পুজোর ভোগ। সব মিলিয়ে এই পুজোটা প্রবীণ এই মানুষগুলোরর জন্য হয়ে থাকল স্মৃতিমেদুর।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে আইটিসি-র এক মুখপাত্র বলেন, “কলকাতার মানুষের কাছে দুর্গাপুজোর মাহাত্মটা কী সেটা আশীর্বাদ আটা বোঝে। দায়িত্বশীল ব্র্যান্ড হিসেবে আমাদের প্রয়াস ছিল মাতৃত্বের উদ্যাপন, কারণ মা দুর্গার নানা রূপের মধ্যে এটাও একটা। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে কলকাতাবাসীকে উৎসবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব আমরা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলাম। পুজো প্যান্ডেলে হোক, আবাসন কিংবা কোনও বৃদ্ধাশ্রমে, নানাবিধ অ্যাক্টিভিটির মধ্যে দিয়ে আমরা কলকাতার মানুষের মধ্যে আত্মিক যোগাযোগ তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এভাবেই এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের মতো করে উৎসবের আমেজকে মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ঠিক যেমন ভাবে আমরা চেয়েছিলাম। সেই সমস্ত কলকাতাবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ, যারা এই উৎসবের উদ্যাপনকে সফল করে তুলতে আমাদের সাহায্য করেছেন। বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হয় তাদের কথা যারা এগিয়ে এসেছিলেন হোমমেকাদের নানা অবতারের উদ্যাপনে আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে আমাদের আরও একটা অনন্য নজির তৈরি করার পথ মসৃণ করেছিলেন।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊