সংবাদ একলব্যে সংবাদ প্রকাশিত হতেই পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেল ছাত্রী
সংবাদ একলব্য:
সংবাদ একলব্য খবরের জেরে পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেল পূর্ব বর্ধমান জেলার, বর্ধমান মহিলা কলেজের তৃতীয় বর্ষের সিক্স সেমিস্টারের ছাত্রীর সুমিত্রা সরেন। করোনা প্যান্ডেমিকের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে অনলাইনে মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
কিন্তু অনেক দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। সেই রকমই সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা বর্ধমান খণ্ডঘোষ রুপসা গ্রামের ছাত্রী সুমিত্রা সরেন। সুমিত্রা বর্ধমান উইমেন্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের সিক্স সেমিস্টারের ছাত্রী। কয়েক বছর আগে পিতৃ বিয়োগ ঘটে সুমিত্রার।মা কোনরকম দিনমজুর খেটে সংসার চালায় ।সংসার চালাতে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে মায়ের সাথে কাজে হাত লাগাতো সুমিত্রা। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে স্মার্টফোন কেনার সামর্থ ছিলনা সুমিত্রার। স্মার্ট ফোন না থাকার ফলে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন বিষয় জানতে পারেনি সুমিত্রা। কবে ফর্ম ফিলাপ হয়েছিল সেই বিশ্ব অজানা ছিল তার। পরে যখন বান্ধবীদের কাছ থেকে জানতে পারে পরীক্ষা বিষয়, তখন সব শেষ ।পরীক্ষার দিন কলেজে আসে সুমিত্রা ।কিন্তু পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ না হওয়ায় সে পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলে জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ।এরপর কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।
অসহায় ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে এসএফআই বর্ধমান সদর কমিটি,পাশে দাঁড়িয়েছে সংবাদমাধ্যমও ।সুমিত্রা পরীক্ষার বিষয়ে কথা বলতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা কন্ট্রোলারের সাথে যোগাযোগ করেন আমাদের সংবাদ একলব্যর প্রতিনিধি সঞ্জিত কুঁড়ি ।
পরীক্ষা কন্ট্রোল সাহেব না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবুও হাল ছাড়েননি আমাদের প্রতিনিধি, যোগাযোগ করা হয় ওই দপ্তরের অন্য আরেক আধিকারিকের সঙ্গে, বিষয়টি জানানো হয় তাকে, তবে তিনি কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি ।এরপরই কোমর বেঁধে নামে এসএফআই। সংবাদমাধ্যমে অসহায় ছাত্রীর খবর প্রকাশের পরে এবং এসএফআই তীব্র আন্দোলনের পরে পরীক্ষা বসার অনুমতি পায় সুমিত্রা সরেন ।পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেয়ে খুশি সুমিত্রা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊