UG/PG'র  চুড়ান্ত সেমিস্টারের/ বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে হয়রানির শিকার ছাত্রছাত্রীরা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন AIDSO- র


কোচবিহার: 



কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা ইউনিভার্সিটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এর পরীক্ষা নিয়ে গাফিলতির বিরুদ্ধে এআইডিএসও-এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়-এ বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেওয়া হয় এদিন। চূড়ান্ত বর্ষ এবং সেমিস্টারের পরীক্ষা প্রথম দিনেই হয়রানির শিকার হতে হয় পরীক্ষার্থীদের । 


অভিযোগ, যেখানে প্রশ্নপত্র সকাল ৮:৩০ টার মধ্যেই ছাত্রছাত্রীরা পেয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু সেই প্রশ্নপত্র পেতে ১০টা পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয় পরীক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় মারফত তো নয়ই, অন্যান্য নানা সোর্সে ছাত্রছাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়ে প্রশ্নপত্র পায়। তারপর তারা পরীক্ষা দেয় কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পরও আবার একধরনের চরম হয়রানি, উত্তরপত্র আপলোড নিচ্ছিল না, তার জন্য ছাত্রছাত্রীদের দুর-দুরান্ত থেকে কলেজে গিয়ে উত্তর পত্র জমা দিতে হয়েছে । 



ছাত্রছাত্রীদের এই হয়রানির জন্য দায়ী কে? আমরা মনে করি ইউ জি সি ,সুপ্রিম কোর্ট , কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ছাত্র স্বার্থ বিরোধী নীতিরই ফল এই হয়রানি বলে মনে করছে এআইডিএসও। এআইডিএসও-র সদস্যরা জানায়, আমরা করোনা আবহের প্রথম দিন থেকেই যে দাবী করেছিলাম  যে,  পরীক্ষা নিয়ে এরকম  একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, ভাইরোলজিস্ট, এপিডেমিওলজিস্ট সকলকে যুক্ত করে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, ছাত্রছাত্রীরা হয়রানির যেনো শিকার না হয়। 



ছাত্রছাত্রীদের হয়রানির বিরুদ্ধে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়, এর প্রতিবাদেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রতিনিধি দলকে ডেকে আলোচনায় বসেন এবং ডেপুটেশন কপি গ্রহণ করেন। এই বিক্ষোভ ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড আসিফ আলম । তিনি বলেন যে, পরীক্ষা প্রহসন ও ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার প্রতিবাদে আমরা আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই এবং দাবী জানাই।আমাদের দাবী মেনে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখবেন।