pic source: internet

নারী সুরক্ষায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একাধিক উপদেষ্টা জারি করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক



দেশে বেড়েই চলছে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ১৯ বছরের তরুণী গণ ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে সারা দেশ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারব সকলেই। এর মাঝেই কেন্দ্র সরকার মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে আইন কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিভিন্ন বিধান মেনে চলতে বলেছে কেন্দ্র। 




স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও বলেছে যে ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক জারি করা মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের তদন্ত ও বিচারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) অনুসরণ করা দরকার।




রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে লেখা চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ভারত সরকার সময়ে সময়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্তৃক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ জারি করছে। যৌন নিপীড়নের মামলায় যার মধ্যে এফআইআর নিবন্ধকরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে , ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ সংগ্রহের (এসএইসি) কিট ব্যবহার, দুই মাসের মধ্যে যৌন নিপীড়নের মামলায় তদন্ত শেষ হওয়া, পুনরায় যৌন অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ ও ট্র্যাকিংয়ের জন্য যৌন অপরাধীদের জাতীয় ডেটাবেস ব্যবহার ইত্যাদি। 



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ (সিআরপিসি)-র ১৫৪ অনুচ্ছেদের (১) এর অধীনে বিচার্য অপরাধের ক্ষেত্রে এফআইআর করা বাধ্যতামূলক। আইন অনুযায়ী, অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশকে এফআইআর বা "জিরো এফআইআর দায়ের করতে হবে।" আরও বলা হয়েছে "যে কোনও অপরাধ লক্ষ্য করা গেলে তার তদন্ত করা এবং তত্ক্ষণাত্ অপরাধীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।" নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, যৌন হেনস্তা কিংবা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণের পর নির্যাতিতা মৃত্যুর আগে যদি কোনও বয়ান দিয়ে যান, তবে সেটিকে প্রমাণ হিসাবে মান্যতাও দিতে হবে। 



এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে নানারুপ অভিযোগ ওঠে। তেমন অভিযোগ সামনে এলে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থানেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকী একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজুও হতে পারে। সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর উপর নেমে আসতে পারে শাস্তির খাঁড়াও। বিভিন্ন ধারাও উল্লেখ করা হয়েছে এদিনের উপদেষ্টায়। 



নির্দেশিকা অমান্য করা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রক অনুরোধ করেছে যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আইন সম্পর্কিত বিধানগুলির কঠোর সম্মতি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে নির্দেশনা জারি করতে পারে।