কৃতি পড়ুয়াদের সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মানেন না স্পষ্ট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী 





প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রাস এবং মাদ্রাসা পরীক্ষায় কৃতি পড়ুয়াদের সোমবার সংবর্ধনা দিল রাজ্য সরকার। তবে এবারের সংবর্ধনা একটু আলাদা রকম, করোনার জেরে ভার্চুয়ালে সম্পন্ন হল। সংবর্ধনার অনুষ্টানে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি-সহ আরও একাধিক সরকারি আধিকারিকেরা। রাজ্য সরকারের তরফে মোট ৭৮৫ জনকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । কৃতি পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।



নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মানেন না মুখ্যমন্ত্রী, এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যে এত মেধাবী এবং প্রতিভাবান পড়ুয়া রয়েছেন। অথচ নতুন শিক্ষানীতিতে কেন্দ্র মেধাতালিকাই বাদ দিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। আমরা কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মানি না।" জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেছেন বলেও জানান তিনি। তিনি মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকার ছাত্রছাত্রীদের গৌরবের জায়গাই বন্ধ করে দিতে চাইছে। 



কৃতি পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'তোমরা এত ভাল ভাবে পড়াশোনা করবে যে, তোমাদের কোথাও দৌড়তে হবে না। বরং সারা পৃথিবী তোমাদের ডাকবে, তোমাদের খুঁজবে। পরবর্তীকালে তোমরা কেউ নাসায় যাবে, কেউ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে, কেউ আবার মাস্টারমশাই হবে। বাংলার ছেলেমেয়েদের মেধার কোনও তুলনা নেই। খোঁজ নিলে দেখবে, ইউএন, ইউএসএ-তে বাঙালির সংখ্যা কত বেশি। হার্ভার্ড থেকে কেমব্রিজ সর্বত্র প্রতিভাবান বাঙালি, স্পেস সায়েন্স বা অন্য গবেষণার ক্ষেত্রে বা বিজ্ঞানীদের মধ্যেও প্রচুর কৃতি বাঙালি রয়েছেন।'



ভার্চুয়াল সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে শিক্ষাখাতে বেশ কিছু ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বলেন, ৮ টি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি হচ্ছে রাজ্যে। এছাড়াও আমাদের ৮৮ টি পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং অন্যান্য সমস্ত জেলাতেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির পরিকল্পনা চলছে। রাজ্যে আরও দু'টি যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে বলে একটি 'জয়হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয়' এবং আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে বাবা আম্বেদকরের নামে। বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।