করোনা ত্রাসে কিছুটা থমকে হলদিয়া লাগোয়া গ্রামের কোজাগরী আরাধনা
শচীন পালঃ
দুর্গাপূজার মতো লক্ষ্মী পূজাতেও ছাপ ফেললো করোনা।করোনা আবহে এবার লক্ষ্মী পুজো একেবারেই ম্লান।তাই এবার বিষাদ মনেই গৃহস্থের ঘরে ঘরে চলছে কোজাগরী আরাধনার প্রস্তুতি।শিল্পশহর হলদিয়া থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত দুটি গ্ৰাম কিসমত শিবরাম নগর ও চাউলখোলা।ওই দুই গ্ৰামে দুর্গাপুজা হয় না।তাই শারদোৎসব এর কয়েকটা দিন কাটিয়ে দুই গ্ৰামের মানুষ অপেক্ষা করে থাকে লক্ষী পুজোর জন্য।দুর্গা পুজার আনন্দ লক্ষী পুজোয় কাটিয়ে নেয়।
ঐতিহ্য,আড়ম্বর,থিম থেকে সাবেকিআনা কোন কিছুই বাদ পড়ে না হলদিয়ার কিসমত শিবরাম নগর ও চাউলখোলা গ্ৰামের লক্ষী আরাধনায়।কিন্তু এবার করোনার জেরে ছবিটা একেবারেই অন্যরকম।জৌলুস,জাঁকজমক নেই,কেবল নামমাত্র পূজো করছে পুজো উদ্যোক্তারা।দুই গ্ৰামে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় সাত থেকে আটটি পুজো হয়।এর মধ্যে পাঁচটি বিগ বাজেটের পুজো।প্রত্যেকবছর পূজো উপলক্ষ্যে তিন-চার দিন ব্যাপি মেলা বসে।
আশপাশের গ্ৰামের গ্ৰাম ছাড়িয়ে ভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ আসেন পুজো দেখতে।কিন্তু এবার লক্ষী বন্দনায় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা।পুজো উদ্যোক্তাদের কথায় করোনা ও লকডাউনের জোড়া ধাক্কায় পুজোর বাজেট একাধিক কাঁটছাঁট করা হয়েছে।গতবছর যা বাজেট ছিল এবার তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।কিসমত শিবরাম নগর বিনয়ী সংঘ ওই এলাকায় বিগ বাজেটের পূজোগুলির মধ্যে অন্যতম পুজো।এবার ৬৪ তম বর্ষে তাদের নামমাত্র পুজো হচ্ছে বলে জানান পুজো উদ্যোক্তা শম্ভু ভৌমিক।করোনা আবহে সকলের আর্থিক অবস্থা খারাপ।অন্যান্য বছর যেখানে থিমের মন্ডপ তৈরি করা হয়।এবছর সেখানে নিয়মরক্ষার পুজো করা হচ্ছে।
সমন্বয় ক্লাবের তরফে গৌতম মান্না বলেন পুজোর পাশাপাশি ক্যুইজ,বির্তক,সংবাদপাঠ এর মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রতিবছর হয়ে থাকে।কিন্তু এবছর সবকিছুই বন্ধ।তবে প্রশাসনের বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন করছে সমস্ত পুজোকমিটি গুলি।জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর।
চাউলখোলা অগ্ৰণী সংঘের সম্পাদক এবং হলদিয়া ব্লকের মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধক্ষ্য গোকুল চন্দ্র মাঝি বলেন করোনা সংক্রমন আটকাতে প্রশাসনের নির্দেশ মতো পুজো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।সমস্ত পুজো মন্ডপের সামনে থাকলে মাস্ক বিতরণ ও স্যানিটাইজার এর ব্যাবস্থা।স্থানীয় বাসিন্দা একাদশী বেরা বলেন আমাদের গ্ৰামের বড়ো উৎসব কোজাগরী উৎসব।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গ্ৰামে বিগ বাজেটের পুজো হয়ে আসছে।এবার করোনার জেরে সব শেষ।বছরের এই তিন-চারদিন আনন্দে মেতে ওঠে দুই গ্ৰামের মানুষ।কিন্তু এবার করোনা বদলে দিয়েছে সবকিছুই।ফলে আনন্দ উচ্ছ্বাস নেই।সবকিছুতেই কার্যত ভাটা পড়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊