ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের বিশেষ ঘোষণা 





রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের পাশে থেকে ধানের অভাবী বিক্রি রুখতে বদ্ধপরিকর। আর তাই খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে- ২ নভেম্বর ২০২০ থেকে ২০২০-২১ খরিফ মরশুমের ধানকেনা শুরু হবে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রাথমিকভাবে ২৯৩টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র (CPC) স্থাপিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কয়েকটি নতুন ধান ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন হবে বলে জানা গেছে। 

১ অক্টোবর ২০২০ থেকে ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রে কৃষকবন্ধুদের নিবন্ধীকরণ শুরু হয়েছে। গত মরশুমে যে কৃষকবন্ধুরা ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে নিবন্ধিত হয়েছিলেন, তাঁদের পুনরায় নিবন্ধীকরণের প্রয়ােজন নেই। তারা সরাসরি যে কোনও ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারবেন। প্রয়ােজনে নিবন্ধীকৃত মােবাইল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা জমি সংক্রান্ত তথ্য পরিবর্তন করতেও পারবেন।

ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলি সরকারি ছুটির দিন বাদে, সােমবার থেকে  শনিবার, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত খােলা থাকবে।

এই খরিফ মরশুমে ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ১,৮৬৮ টাকা। সাথে ২০ টাকা করে উৎসাহ মূল্য পাওয়া যাবে। 

ধানের মূল্য সরাসরি (NEFT-এর মাধ্যমে) কৃষকবন্ধুদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। এছাড়া একজন কৃষক ২০২০-২১ খরিফ মরশুমে সর্বাধিক ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রয় করতে পারবেন। 


কীভাবে সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রয় করবেন? এর জন্য আগেই আপনাকে নিবন্ধিকরণ করতে হবে। খাদ্য  নিবন্ধীকরণ করার জন্য অবশ্যই 

১) ভােটার কার্ড 
২) দুই কপি পাসপোট ছবি 
৩) IFS Code যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই
৪) মােবাইল নম্বর 
৫) কৃষি জমি সংক্রান্ত নথি বা স্ব-ঘােষণা পত্র।

তবে ২০১৯-২০ খরিফ মরশুমে নথিভুক্ত কৃষকবন্ধুরা তাঁদের ওই বছরের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট  আনলেই ধান বিক্রি করতে পারবেন। বিক্রির সময় ব্যাঙ্কের  পাসবই ও তার কপি এবং একটি  পরিচয় পত্র প্রয়ােজন হবে। 

কোথায় আবেদন করবেন? 
কোভিড অতিমারীর সময়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য, অন্নদাত্রী মােবাইল অ্যাপ-এর মাধ্যমেও নাম নথিভুক্ত করার অনুরােধ পাঠানাে যাবে।
ANNADATRI GOVT OF WEST BENGAL- নামের অ্যাপটি গুগুল প্লে স্টোর থেকে ডাওনলোড করে নিতে হবে। 

এছাড়া আরও অন্যান্য তথ্যের জন্য ভিজিট করুন- https://procurement.wbfood.in/