জরুরী প্রয়োজনে রক্ত দিলেন দুই শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা, শচীন পাল
জরুরি প্রয়োজনে রক্তদিলেন দুই শিক্ষক মিলন আঢ্য ও সুনীত নায়েক। একে কেরোনা আবহ তার উপর উৎসবের মরসুম তাই এই মুহূর্তে বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে রক্তের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকও তার ব্যাতিক্রম নয়। ফলে রক্তের প্রয়োজনে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। এইভাবেই বুধবার দুপুরে ডেবারার বাসিন্দা তপন চক্রবর্তীর অপারেশনের জন্য এ পজেটিভ রক্ত খুঁজতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তাঁর পরিজনেরা। তপনবাবুর ভাইপো বিশ্বেশ্বর চক্রবর্তী যোগাযোগ করেন কুইজ কেন্দ্রের সদস্য, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী পেশায় শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার সাথে।
সুদীপবাবু তৎক্ষণাৎ ফোনে যোগাযোগ করেন নিয়মিত রক্তদাতা মেদিনীপুর শহরের কর্ণেলগোলার বাসিন্দা, কেশপুরের করঞ্জিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলন আঢ্যর সাথে। মিলন বাবু তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে যান এবং দুপুরেই মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় একই রকম সমস্যায় পড়ে 'ও" পজিটিভ রক্তের প্রয়োজনে সুদীপবাবুর দারস্থ হন মেদিনীপুর সদরের পাইকারাপুরের বাসিন্দা এবং মেদিনীপুরে চিকিৎসাধীন কাকলী অধিকারীর ভাই অমিত পন্ডিত।
সুদীপবাবু যোগাযোগ করেন আর এক নিয়মিত রক্তদাতা মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি এলাকার বাসিন্দা তালবাগিচা হাইস্কুলের শিক্ষক সুনীত নায়েকের সাথে। সুনীতবাবু তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে যান এবং সকালেই ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন। এই দুই রক্তদাতার রক্তদানের খবর সুদীপবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে, নেটিজেনরা রক্তদাতাদের কুর্ণিশ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য করোনা আবহের মাঝেই দু-দুবার রক্তদান করলেন এই দুই শিক্ষক।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊