'কলা মহামারী' কী?  ভারত কি এমন হুমকির মুখে?

অস্ট্রেলিয়ার একটি খামার  মোড়ক দিয়ে টিআর 4 এর বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করছে 



কলা একটি পরিচিত ফল। পূজা থেকে খাদ্য তালিকা- কলার রাজত্ব সর্বত্র। কিছুদিন আগে একটি বাংলা গানও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো-"দয়াল বাবা কলা খাবা"। যাইহোক এই কলাও এখন ভীষণ সঙ্কটে। করোনা মহামারী যেমন সমগ্র বিশ্বে মানবকূলের ত্রাস তেমনি ফুসারিয়াম উইল্ট টিআর 4 [ fusarium wilt TR4] কলা-র ক্ষেত্রে করোনার মতনই ভয়াবহ। 


ক্রান্তীয় রেস (TR4) নামে পরিচিত এই রোগ মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়ার দেশগুলিতে কলা ফসলের কাছে একরকম ত্রাস। এটি কলা ফসলের ক্ষেত্রে প্রথম রোগ নয় 1960 এর দশকে, ফুসারিয়াম উইল্ট (পানামা রোগ) নামে পরিচিত একটি ছত্রাকজনিত মহামারী বিশ্বের পরিচিত কলার জাত গ্রস মিশেলকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। ফুসারিয়াম উইল্ট, যা কলা গাছগুলিকে জল এবং পুষ্টি গ্রহণে বাধা দেয় শুধু তাই নয় এটি নিয়ন্ত্রণ করা শক্ত। এটি মাটিতে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং ছত্রাকনাশক প্রয়োগও কার্যকর হয় না।

বিজ্ঞানীরা এটিকে কলাতে কোভিড -19 এর সমতুল্য হিসাবে বর্ণনা করছেন। করোনাভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে সাথে, "ফুসারিয়াম উইল্ট টিআর 4" নামের এই ছত্রাক, যা এই বছর বিশ্বজুড়ে গাছপালা ধ্বংস করেছে। এমনকি  ভারতে নতুন হটস্পট স্থাপন করছে যা উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের কাছে একপ্রকার চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  



ট্রপিকাল রেস ৪ (টিআর ৪) এই স্ট্রেনটি প্রথমে তাইওয়ানে চিহ্নিত হয়েছিল এবং এশিয়া থেকে মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকা পর্যন্ত লাটিন আমেরিকা পৌঁছেছে। এটি প্রথমে পাতাগুলিকে আক্রমণ করে গাছকে একপ্রকার পঙ্গু করে দেয়। যার এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোন প্রতিকার নেই।

বিহারের কাটিহার ও পূর্ণিয়া এবং উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ ভারতের হটস্পট। ইউপিতে, বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।