আইআরসিটিসিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ১ 




সঞ্জিত কুঁড়ি, বর্ধমানঃ  

এবার বড়সড় দুর্নীতির চক্রের হদীস মিললো বর্ধমানে। আইআরসিটিসিতে চাকরি দেওয়ার নামে বেকার ছেলে-মেয়েদের ঠকানোর একটি চক্রের হদিশ পেয়েছে রেল পুলিশ। চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান জিআরপি। ধৃতের নাম অজিত কুমার মিশ্র। 



পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার চিনাকুড়ির ডিপিএস দুর্গামন্দির এলাকায় তার বাড়ি। তার সঙ্গে আইআরসিটিসির ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলিতে বর্ধমান ও রেলের আদ্রা ডিভিশনের কয়েকজন জড়িত বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে জিআরপি বলে দাবি। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় জিআরপি।ধৃতকে ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।




জিআরপি জানিয়েছে, কয়েকমাস আগে অজিতের সঙ্গে কুলটি থানার রাধানগর হাটের বাসিন্দা সন্দীপ পাশোয়ানের পরিচয় হয়।অজিত তাঁকে আইআরসিটিসিতে চাকরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। চাকরির জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে সে। চাকরি করে দিতে ৩ রেলকর্মী তাঁকে সাহায্য করবে বলে জানায় সে। অজিতের কথা বিশ্বাস করে তাকে টাকা দিয়ে দেন সন্দীপ। কিছুদিন পর তাঁকে একটি প্রশিক্ষণের চিঠি দেওয়া হয়। তার দিনকয়েক পর তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে বুধবার তিনি বর্ধমান স্টেশনে আসেন। তাঁর সঙ্গে অজিতও আসে। বিনোদ শর্মা ও পঙ্কজ কুমার বলে আরও দু'জন চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বর্ধমান স্টেশনে আসেন। সেখানে অজিত আরও ২০ হাজার টাকা তাঁদের কাছে দাবি করে। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হয় সন্দীপের। এরপরই সন্দীপ, বিনোদ ও পঙ্কজ মিলে অজিতকে ধরে জিআরপি থানায় নিয়ে যান। সেখানে ঘটনার কথা জানিয়ে সন্দীপ অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণের চিঠি ও নিয়োগপত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জিআরপির এক অফিসার বলেন, ধৃত ও তার সঙ্গীরা বহু ছেলে-মেয়েকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঠকিয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ করেছে তারা। চক্রের সঙ্গে রেলের কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।